দিল্লি হিংসার বলি বেড়ে হল ২৭। জখম প্রায় ২৫০ জন। জিটিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে বুধবার ভোটে হিংসার দরুণ আরও ১১ জন নিহত হয়েছেন। দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত শুনানিতে জানিয়েছে, 'রাজধানীতে আরেকবার ১৯৮৪ সালের দাঙ্গা হতে দিতে পারি না। প্রশাসনকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা একান্ত প্রয়োজন।' এদিকে শাহিনবাগ মামলার শুনানিতে নাটকীয়ভাবে দিল্লি হিংসা নিয়ে পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি কৌল ও যোশেফ। বলেন 'হিংসার মদতদাতাদের পুলিশ প্রশয় না দিলে এই ঘটনাই ঘটত না। '
এদিকে, নজিরবিহীনভাবে মঙ্গলবার রাত পৌনে দুটো পর্যন্ত দিল্লি হিংসা নিয়ে মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি এস মুরলিধরের বাড়িতেই চলেশুনানি। দিল্লি পুলিশকে বিচারপতি এস মুরলিধর ও বিচারপতি এ জে ভমম্বানী বেঞ্চের নির্দেশ, অবিলম্বে মুস্তাফাবাদের ছোট হাসপাতাল থেকে দিল্লি হিংসায় জখমদের বড় হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: দিল্লিকাণ্ডে গম্ভীর নিশানায় বিজেপি নেতা
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি ফোরাম মঙ্গলবার গভীর রাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাদের দাবি ছিল, মুস্তাফাবাদে আহতদের চিকিৎসার জন্য যেতে ইচ্ছুক মেডিক্যাল টিম ও আহতদের নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সকে যেন পুলিশি নিরাপত্ত দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দু? বেঁচে গেলে’, দিল্লিতে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকের
দিল্লির হিংসা রুখতে আসরে নামলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। মধ্যরাতেই ঘুরে দেখেন রাজধানীর পরিস্থিতি। বৈঠক করেন দিল্লি পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে। সাক্ষাৎ করেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট বৈঠকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে রিুপোর্ট জমা দেন অজিত দোভাল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে এখনও অশান্তির আগুনে জ্বলছে দিল্লি। রাজধানীর উত্তর-পূর্ব এলাকায় হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪, জিটিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও চাঁদবাগ এলাকায় নতুন করে আগুন লাগানোর এবং পাথর ছোড়ার খবর পাওয়া যায়। অন্যদিকে, গতকাল সিএএ-বিরোধী ধর্নার কেন্দ্রস্থল জাফরাবাদ রোড খালি করে দেয় দিল্লি পুলিশ। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লির কিছু এলাকায় জারি করা হয় দেখামাত্র গুলি করার বা ‘শুট অ্যাট সাইট’-এর নির্দেশ। পরিস্থিতি বুঝে ওই এলাকায় বুধবার দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। বন্ধ এলাকার সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলও।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন