Advertisment

দিল্লি হিংসা: নিহতদের ময়নাতদন্ত ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ হাইকোর্টের

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এদিন দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দিল্লি হিংসায় নিহত ৫৩

দিল্লি হিংসায় নিহতদের ময়নাতদন্ত ভিডিও রেকর্ড করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। প্রত্যেকটি হাসপাতালকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে যে, চলতি মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত নিহতদের ডিএনএ সংরক্ষণ করতে হবে। অজ্ঞাত পরিচয় দেহ থাকলে এখনই তার অন্তিম সংস্কার করা যাবে না। ১২ মার্চ দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisment

অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই দিল্লি হিংসা সংগঠিত হয়েছে। এই নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। এই সংক্রান্ত সব মামলাও আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট শুনবে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পাটিল নেতৃত্বাধান ডিভিশন বেঞ্চ।

'দীর্ঘ মেয়াদে একটি মামলার শুনানি স্থগিত করা ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নয়। আমরা হাইকোর্টের এক্তিয়ারে ঢুকতে চাই না, তাই দিল্লি হাইকোর্টকেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করার অনুরোধ করছি।' গত বুধবার দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলায় এমনটাই নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার জন্যও হাইকোর্টকে বলেছিল সর্বোচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: ‘দেশদ্রোহিতার প্রমাণ নেই’, জামিন মুক্ত শাহিন স্কুলের ৫ আধিকারিক

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেছিলেন, 'আমরা ৭০০০ ভিডিও পেয়েছি। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে নয়।'

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দিল্লি হিংসা প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, 'হিংসায় দেশবাসীর মৃত্যুকে সমর্থন করে না হাইকোর্ট। আবার, এই ধরণের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে কেউ জনমানসে হিংসার জন্ম দিক সেটাও চায় না দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের মানুষের আশা সুপ্রিম কোর্ট এই দাঙ্গাকে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু না, সুপ্রিম কোর্ট কেবল মাত্র এই ধরনের ঘটনার পর তা আটকাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা এই মামলার পুরোটা শুনে বুঝে তারপরই রায়দান করব। আদালত দেশে শান্তি বজায় রাখতে চায়, কিন্তু কোথায় আমাদেরও কাজের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।'

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর হিংসা ছড়ায় উত্তর পূর্ব দিল্লিতে। দিল্লির ওই অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। অভিযোগ করা হয় যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি নেতা পরবেশ সিং ও কপিল মিশ্রদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই অশান্তি ছড়ায়। এর আগে ২৭ ফেবরুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত মামলা আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতুবি করে দেয়। কেন্দ্রের দাবি মেনে পরিস্থিতি 'অনুকূল' নয় বলেই শুনানি এক মাসের বেশি সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Violence delhi
Advertisment