রাজধানীতে হিংসার ঘটনা বুধবার পর্যন্ত প্রাণ কেড়েছে ২৭ জনের। দিল্লির উর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে উত্তর-পূর্ব দিল্লির আক্রান্ত অঞ্চলগুলিতে গিয়ে সুরক্ষার আশ্বাসও দেন দোভাল। এদিকে দিল্লির হিংসা নিয়ে নীরবতা ভেঙে মোদী জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির ঘটনার পর্যালোচনা করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ছাড়তেই দিল্লির অশান্ত ময়দানে নামেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতেচ উপত্যকাতেও একইভাবে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দোভাল। সেই একই ভঙ্গিতে বুধবার মৌজপুর ও চৌহান বাঙ্গার-সহ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির রাস্তায় হেঁটে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি। এমনকী ভীতসন্ত্রস্ত এলাকাবাসীকে 'সুরক্ষার আশ্বাস'ও দেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
Advertisment
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ছাড়তেই দিল্লির অশান্ত ময়দানে নামেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এক্সপ্রেস ফোটো- অভিনব সাহা
তবে সূত্রের খবর, এহেন পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে পুলিশ সেদিকে "কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি" রেখেছেন দোভাল। শনিবার রাতে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের নীচে কীভাবে বিক্ষোভকারীদের জড়ো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। এদিকে, বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেও দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়নি। দিল্লি পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অসমর্থ তা স্বীকার করে বিজেপি সূত্র জানায় যে সরকার হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে "প্রশাসন"-কেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অনিল জৈন বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি দিল্লির রাস্তাগুলি ঘুরে দেখেন তবে তা সঠিক বার্তা দেবে না। আমরা চেয়েছিলাম প্রশাসনকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই এই অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করেছেন"।