Advertisment

নোটবন্দির ঝটকায় হড়কে গিয়েছিল অর্থনীতি: প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা

নোটবন্দির আগে তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল কিনা, সে প্রসঙ্গে নীরবই থেকেছেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এ বছরের গোড়ায় পদ ছেড়েছেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণিয়ন (ফাইল ছবি)

নোটবন্দি শুধু ভয়ানকই ছিল না, ছিল মানুষখেকো এক অর্থনৈতিক ঝটকা। যার জেরে অর্থনীতি হড়কে গিয়েছিল। নোট বন্দির আগে যে গ্রোথের পরিমাণ ছিল ৮ শতাংশ, সপ্তম ত্রৈমাসিকে তা নেমে এসেছিল ৬.৮ শতাংশে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বিমুদ্রাকরণ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলে এ কথা বললেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণিয়ন।

Advertisment

চার বছরের মেয়াদ শেষে এ বছরের গোড়ায় পদ ছেড়েছেন সুব্রহ্মণিয়ন। এবার তাঁর লেখা বই প্রকাশ করতে চলেছে পেঙ্গুইন। “Of Counsel: The Challenges of the Modi-Jaitley Economy শীর্ষক বইটিতে অরবিন্দ একটি অধ্যায়ও লিখেছেন এ বিষয়ে। কিন্তু যা নিয়ে সকলের আগ্রহ, যে নোটবন্দির আগে তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল কিনা, সে প্রসঙ্গে নীরবই থেকেছেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। সরকারের সমালোচকরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে চলেছেন, তৎকালীন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা ব্যতিরেকেই নোটবাতিলের মত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন, ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক

প্রকাশিতব্য বইয়ের “The Two Puzzles of Demonetisation — Political and Economic” অধ্যায়ে অরবিন্দ লিখছেন,

‘‘বিমুদ্রাকরণ ছিল ভয়াবহ, মানুষখেকো, অর্থনৈতিক ঝটকা- এক ধাক্কায় ৮৬ শতাংশ বাজারচলতি মুদ্রা তুলে নেওয়া হয়েছিল। নোটবন্দির ফলে জিডিপি-র বৃদ্ধির হারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। বৃদ্ধির হার আগেও কমছিল, কিন্তু নোটবাতিলের পর তা পুরো হড়কে যায়।

বিমুদ্রাকরণ পূর্ববর্তী ৬টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির গড় হার ছিল ৮ শতাংশ, নোটবাতিলের পর সপ্তম ত্রৈমাসিকে সে হারের গড় পরিমাণ দাঁড়ায় ৬.৮ শতাংশে।’’

বিমুদ্রাকরণের মত ঝটকার ঘটনা যখন ঘয়ে, তখন তা প্রাথমিকভাবে প্রভাবিত করে অসংগঠিত ক্ষেত্রকে, মন্তব্য করেছেন তিনি। অরবিন্দ বলেছেন, বিমুদ্রাকরণের জন্যই যে বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছিল তা নিয়ে কেউই সংশয় প্রকাশ করবেন না। বরং কথা হতে পারে এই প্রভাবের পরিমাণ নিয়ে। প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেছেন, ওই সময়কালে জিএসটি, তেলের দাম এবং সুদের হারের মত বিষয়গুলিও বৃদ্ধির হারকে প্রভাবিত করেছে।

Read the Full Story in English

Demonetisation
Advertisment