Advertisment

৩০,০০০ কোটি টাকা এসেছে, বলছেন মন্ত্রী, অথচ কমছে গুজরাতে বস্ত্র উৎপাদন

গুজরাতে কাঁচা তুলো উৎপাদনের পরিমাণ ২০১২-১৩ সালে ছিল ১,৫৮১ মিলিয়ন কেজি, যা গত পাঁচ বছরে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে -০.৫ শতাংশ করে কমেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রবিবার চলতি 'ভাইব্রান্ট গুজরাত গ্লোবাল সামিটে' কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুজরাতের বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩০,০০০ কোটি টাকা। তার কিছু পরেই তাঁরই হাত দিয়ে প্রকাশ পাওয়া একটি রিপোর্টে জানা গেল, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে রাজ্যের বস্ত্রশিল্পের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে "ডি-গ্রোথ, অর্থাৎ 'নেতিবাচক বৃদ্ধি' ঘটেছে।

Advertisment

পরিসংখ্যানে পরিপূর্ণ এই রিপোর্টের শীর্ষক হলো 'গুজরাত: দ্য গ্রোয়িং ইঞ্জিন ফর টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং'। এতে বলা হয়েছে, গুজরাতে কাঁচা তুলো উৎপাদনের পরিমাণ ২০১২-১৩ সালে ছিল ১,৫৮১ মিলিয়ন কেজি, যা গত পাঁচ বছরে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে -০.৫ শতাংশ করে কমেছে।

(ASSOCHAM) অ্যাসোসিয়েটড চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ার এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যে গুজরাতে গত পাঁচ বছরে কাপড়ের উৎপাদন বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে -২ শতাংশ করে কমেছে।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আসামে বিজেপি-র মধ্যেই মতান্তর

কাপড় এবং পোশাকের ক্ষেত্রে গুজরাতের রপ্তানির হারও স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। ২০১৪-১৫ সালে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৪.৭৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ২০১২-১৩ সালে সেই অঙ্ক ছিল ৪.৮১ বিলিয়ন ডলার। তা সত্ত্বেও রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, রপ্তানির আর্থিক মূল্য কমলেও গত তিন বছরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।

ওদিকে বস্ত্রশিল্প সংক্রান্ত আলোচনা সভায় তাঁর ভাষণে ইরানি বলেন, বস্ত্রশিল্প খাতে গত চার বছরের কেন্দ্রীয় সরকারি অনুদানের সুবিধা পেয়েছে গুজরাতের ২,১০০ টি কারখানা। "গুজরাতের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিশেষ অঙ্গীকার ছিল, আমরা তার মধ্যে কিছু রক্ষা করেছি। ২০১৪ থেকে সারা দেশে প্রযুক্তি উন্নয়নের খাতে সরকার ৭,২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যার মধ্যে ১,৮৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে গুজরাত, উপকৃত হয়েছে ২,১০০ টি কারখানা।

"ভারত সরকার ভর্তুকি প্রদান করার পর থেকে প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে গুজরাতে। একটা সময় ছিল যখন গুজরাত ও কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাতের ফলে গুজরাতিদের আকাঙ্খাকে সন্মান করা হতো না। মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি ২০১৪-র আগের ও পরের অবস্থা বিবেচনা করে দেখি। আমার বলতে আনন্দ হচ্ছে, যে ২০১৪ সালের আগে গুজরাতে স্রেফ ন'টি টেক্সটাইল পার্কের সরকারি অনুমতি পাওয়া যায়, যেখানে আমরা ৫,৬১৪ কোটি টাকার বিনিময়ে ১৭ টি টেক্সটাইল পার্ক অনুমোদন করেছি, যার মধ্যে ছ'টি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে।

Read the full story in English

gujarat
Advertisment