সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি। কিন্তু ভার্চুয়াল ভাষণেই হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপির মেগা যোগদানে মেলায় তৃণমূল নেত্রীকে কড়া বাণে বিঁধলেন অমিত শাহ। মমতা সরকারকে, ‘স্বৈরাচারী’, ‘তোলাবা' ও 'ঠকবাজ' বলে আক্রমণ করেন। বাতলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ায়ের ভবিষ্যৎ। বলেন, 'ভোট যত এগোবে, দেখবেন আপনি ক্রমশ একা হয়ে পড়েছেন।'
এদিনও রাজ্যের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, 'বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় এলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই আয়ুষ্মান ভারত চালুর অনুমোদন দেবে। দীর্ঘ বঞ্চনা থেকে মুক্ত হবেন বাংলার মানুষ, গড়ে উঠবে সোনার বাংলা।'
আরও পড়ুন- 'বাংলায় পদ্ম ফোটাবই’, গেরুয়া মঞ্চে চ্যালেঞ্জ রাজীবের
শুভেন্দু থেকে রাজীব, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েই কেন্দ্র-রাজ্যে একই সরকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। নিজের মন্তব্যে যেন বাংলার বিজেপি নেতাদের সেই সওয়ালেরই ব্যাখ্যা দিলেন শাহ। কার্যত জানালেন, কেন্দ্রে ও বাংলায় এক সরকার থাকলে দুই সরকারের উন্নয়ই বঙ্গবাসীর কাজে লাগবে।
বাংলাজুড়ে এখন দলবদলের হাওয়া। জোড়া-ফুল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক। যারপরনাই ভোটের আগে এই বদলে স্বস্তি বাড়ছে মোদী-শাহদের। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর গলাতেও যেন আত্মবিশ্বাসের সুর। এই প্রসঙ্গ টেনেই অমিত শাহ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন। তৃণমূল নেত্রীর ভবিষ্যত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ বলেছেন, 'তৃণমূলের ভালো নেতারা একে একে বিজেপিতে আসছেন। পরিবর্তনের ঝড় বইছে। দিদি একসময় দেখবেন আপনি একা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।'
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর কড়া হুমকি, ‘২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কলকাতা, দঃ ২৪ পরগনা ফাঁকা করব’
রবিবারই হাওয়ায় ফেব্রুয়ারির ২-২০ তারিখের মধ্যে কলকাতা ও দঃ ২৪ পরগনা তৃণমূল মুক্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে মমতাকে শাহের আক্রমণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
শাহের স্পষ্ট অভিযোগ, বামেদের পথেই বাংলায় গত ১০ বছরে অনেক বেশি সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের বাংলাকে রক্তাক্ত করেছে তৃণমূল। অনুপ্রবেশকারীদের আখড়ায় পরুণত হয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। শাহের দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত য়েমন হবে, তেমনই কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন হবে, ফের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন