বিমান চালকের অভাবে সোমবার থেকেই ইন্ডিগোর উড়ান বাতিল হতে শুরু করায় চূড়ান্ত ভোগান্তিতে যাত্রীরা। মঙ্গলবারেও ৩০টি উড়ান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা থেকেই রয়েছে ৮টি উড়ান। অন্যান্য বেসরকারি বিমান সংস্থার তুলনায় ইন্ডিগোর পরিষেবা মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে থাকায় আকাশ পথে যাত্রা করতে হলে দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এই সংস্থার পরিষেবা নিয়ে থাকে। ফলে পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে।
গত সপ্তাহের শেষ থেকে দুর্ভোগের শুরু। শনিবার সারা দেশে ৮০টি বিমান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল এই বিমান সংস্থা। সোমবার দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর থেকে ৩২টি বিমান বাতিল করে দেয় ইন্ডিগো। এই সমস্যা যে আগামী কয়েকদিন চলবে, তা আগাম জানিয়ে দিয়েছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। একের পর এক উড়ান বাতিল হওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কলকাতায়। তারপরেই রয়েছে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই।
আরও পড়ুন, ট্রেনের টিকিটে প্রবীণ নাগরিকরা কতটা ছাড় পেতে পারেন, জানেন?
যাত্রীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ তাঁদের শেষ মুহূর্তে চড়া দামে টিকিট কিনতে বাধ্য করছে অথবা বাতিল হওয়া উড়ানের বিকল্প হিসেবে যে উড়ানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তার যাত্রা সময় বেশি। অন্য দিকে বিমানচালকদের একটা অংশের বক্তব্য, ডিজিসিএ নির্ধারিত ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম অ্যান্ড লিমিটেশন’ (এফডিটিএল) অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের বাইরে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না।
রবিবার এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো অবশ্য উড়ান বাতিলের জন্য গত বৃহস্পতিবার দিল্লি সহ উত্তর ভারতের খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করেছে। সংস্থার বক্তব্য, উড়ান বাতিল হলে বিকল্প উড়ানের জন্য ফের বিমানচালকের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বলেই পাইলটের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তি মারফত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু বিশেষ কারণে আগামী কয়েক দিনে ৩০টির বেশি বিমান পরিষেবা দিতে পারবেনা কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে "যাত্রীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য বাতিল হওয়া উড়ানের যাত্রীদের কাছাকাছি সময়ের অন্য উড়ানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবে ইন্ডিগো"।
এই মুহূর্তে ইন্ডিগোর ২০৯টি বিমানের জন্য ১৩০০টি উড়ান রয়েছে। দেশের মধ্যে ৫২টি বিমানবন্দরে এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইন্ডিগর পরিষেবা পাওয়া যায়।
Read the full story in English