পুরুষ করোনা রোগীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আটক ডাক্তার

আইসিইউ-এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত এক পুরুষ রোগীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে বছর চৌত্রিশের এম.ডি. ডাক্তারকে আটক করা হল।

আইসিইউ-এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত এক পুরুষ রোগীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে বছর চৌত্রিশের এম.ডি. ডাক্তারকে আটক করা হল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আইসিইউ-এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত এক পুরুষ রোগীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে বছর চৌত্রিশের এম.ডি. ডাক্তারকে আটক করা হল। ১ মে ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপালে। অভিযুক্ত চিকিৎসক ঘটনার একদিন আগেই ওই হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisment

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ডাক্তারও করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন এই ভয়েই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং থানেতে তাঁরই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রেখে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন- অরেঞ্জ জোনে বড় ছাড়, ট্যাক্সি-ক্যাব পরিষেবায় অনুমতি কেন্দ্রের

হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ডাক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার জারি করা ওখার্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ওই ডাক্তার সেদিনই প্রথম কাজে যোগ দিয়েছিলেন। আগের দিনই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ামাত্র হাসপাতাল পুলিশে যোগাযোগ করে এবং তাঁকে বরখাস্ত করা হয়"।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নভি মুম্বই মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.ডি. উত্তীর্ণ হয়েছেন। ৩০ এপ্রিলই তাকে ওই হাসপাতালে নিয়োগ করা হয় এবং সেদিনই সংশ্লিষ্ট রোগীও হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ১ মে সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।

আরও পড়ুন- মুসলিম ব্যবসায়ীদের গ্রামে প্রবেশের নিষেধ পোস্টার ইন্দোরে, দায়ের মামলা

ওখার্ড হাসপাতালের মানব সম্পদ বিভাগের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা সহ ২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় (রোগ ছড়িয়ে জীবন বিপন্ন করা) মামলা রজু করেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক পুলিশ অফিসার বলেন, "মানব সম্পদ আধিকারিকের বিবৃতির ভিত্তিতে আমরা মামলা দায়ের করেছি। তিনি আমাদের বলেন, অভিযুক্ত ডাক্তারকে ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। এবং ৩০ এপ্রিলই ছিল তাঁর প্রথম কাজের দিন। দ্বিতীয় দিনে তিনি এই অপরাধটি করেন"।

ঠিক কী ঘটেছিল?
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১ মে হাসপাতালের দশ তলায় আইসিইউ-তে প্রবেশ করে রোগীকে যৌন প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। রোগীটি প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এরপরও ডাক্তার তাঁকে যৌন নিগ্রহ করতে উদ্যত হলে 'রোগীটি ঘণ্টা বাজান এবং আইসিইউ-এর বাইরে কর্মরত অন্যান্য কর্মীরা ভিতরে চলে আসেন', এমনটাই জানিয়েছেন এক আধিকারিক। নিগ্রিহীত রোগীটি তৎক্ষণাৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানান। ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন, "এরপরই হাসপাতাল সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ এবং বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে বিষয়টি জানাবে"। পুলিশ জানাচ্ছে, রোগীর এবং অভিযুক্তের বয়ান এখনও তারা সংগ্রহ করেনি।

ওখার্ডের এক দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ষাটোর্ধ্বদের (ডাক্তার) বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্তের পরই হাসপাতাল ঠিক করে বেশ কিছু তরণ চিকিৎসককে নিয়োগ করবে। অভিযুক্তকে হাসপাতালের চিকিৎসক পরিমণ্ডলে খুব বেশি কেউ চিনতেন না।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news