অশঙ্কাই সত্যি হল। শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদের নোটিসই ধরানো হল নবগঠিত মোতেরা স্টেডিয়ামের কাছের বস্তির ৪৫টি পরিবারকে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে 'নমস্তে ট্রাম্প' অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই সফরের জন্যই বস্তিবাসীদের উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, আমেদাবাদ পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের সফরের সঙ্গে এই নোটিসের কোনও যোগ নেই।
দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর আগেই সাজ সাজ রব আহমেদাবাদে। সেই উপলক্ষেই সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইন্দিরা ব্রিজ অবধি রাস্তার পাশের বস্তি ঢাকতে প্রাচীর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় আমেদাবাদ পুরসভা। প্রাচীরের উচ্চতা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে প্রাচীরের উচ্চতা ৬ ফুট থেকে কমিয়ে ৪ ফুট হচ্ছে বলে জানানো হয়।
গত দু'দশক ধরে বস্তির বাসিন্দা বছর ৩৫-এর তেজা মেদা জানান, 'আমেদাবাদ পুরসভার তরফে এক অফিসার এসে বস্তি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেডিডেন্ট এখানে আসছেন বলেই পুরসভা এই পদক্ষেপ করেছে।' বেশ কয়েক জন বস্তিবাসীর দাবি, পুরসভার তরফে তাদের এদিন কাজে যেতেও নিষেধ করা হয়েছিল। পরে সবার হাতে এই নোটিস দেওয়া হয়। উচ্ছেদের নোটিস পাওয়া বেশিরভাগ পরিবারই নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিদিন তাঁদের উপার্জন প্রায় ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ‘মুসলিম কবরের উপরই কী রামমন্দির হবে?’, প্রশ্ন অযোধ্যার সংখ্যালঘুদের
পুরসভার উচ্ছেদ নোটিস পেয়ে মাথায় হাত বস্তিবাসীদের। সকলকে নিয়ে এখন কোথায় যাবেন, এই কথা ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা। চার সন্তানের বাবা বস্তির বাসিন্দা মুকেশ বোম্বানিয়া বলেন, 'গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে শহরে এসেছিলাম। ছেলে-মেয়েরাও স্কুলে পড়ছে। এখন যে কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।'
নোটিসে লেখা হয়েছে গত ১১ ফেব্রুয়ারির কথা। আদতে যা গতকাল দেওয়া হয়েছে বস্তিবাসীদের। কেন এমন হল? পুর কর্তপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, 'যেদিন নোটিস জারি হবে সেদিনই সব সময় তা দেওয়া যায় না।'
কেন এক দ্রুত বস্তিবাসীদের উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মজদুর অধিকার মঞ্চের নেতা মীনা যাদব। উচ্ছেদের নোটিস পাওয়া বেশিরভাগ বস্তিবাসীই এই সংগঠনের সদস্য।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন