প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ১.৫ বিলিয়ম মার্কিন ডলার বাজেট বরাদ্দ করল আমেরিকা। বৈদেশিক সাহায্য গত অর্থবছরের ৫ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার থেকে কমিয়ে নতুন অর্থবছরে করা হয়েছে, ৪ হাজার ৪১০ কোটি ডলার। তার মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এই বরাদ্দ যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী। মনে করা হচ্ছে, ওই অঞ্চলে চিন ও রাশিয়ার প্রভাব রুখতেই হোয়াইহাউসের এই পদক্ষেপ।
আমেরিকায় চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে অর্থবছরের শুরু এবং শেষ ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে। ট্রাম্প গতবছরই তার বাজেট প্রস্তাবে বৈদেশিক সাহায্য কমাতে চেয়েছিলেন।কিন্তু কংগ্রেসের তীব্র বিরোধিতার কারণে সফল হতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতেই ভারত সফরে ট্রাম্প
হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, 'বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এই অঞ্চলে বসবাস করেন। এছাড়া, ক্রমবর্ধমান দ্রুত অর্থনীতি সম্পন্ন ইন্দো-প্যাসিফিকের ভবিষ্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতির স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।' পাশাপাশি বলা হয়েছে, চিনা প্রবাব মুক্ত করতেই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বাজেটে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে। হোয়াইটহাউস মনে করছে এই অর্থ সাহায্য়ের ফলে সেখানকার গণতন্ত্র রক্ষা কর্মসূচি যেমন পোক্ত হবে, তেমনই , নিরাপত্তা জোরদার ও আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সার্বভৌমত্বে বারংবার হস্তক্ষেপ আমেরিকা। পেন্টাগন বারংবার এই অভিযোগ করছে। বেজিং-এর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পেই তার প্রমাণ মিলছে বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাই ওই অঞ্চলে চিনা প্রভাব কমাতে মরিয়া চিন। বাজেট বরাদ্দে যার ছাপ স্পষ্ট।
Read the full story in English