দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ফি দিন লক্ষ-লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে এবার রাজ্যগুলিকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে পরামর্শ কেন্দ্রীয় সরকারের।
একাধিক রাজ্যের সরকার করোনা বিধি-নিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে। ওমিক্রন ততটা বিপজ্জনক নয় বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে কেন্দ্রের পরামর্শ, 'ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। এতে ফল উল্টো হতে পারে'। সেই কারণেই বিধি-নিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে সব দিক ভেবে দেখার পরামর্শ কেন্দ্রের।
বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে একটি নির্দেশ পাশ করেছে। যা কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য এর আগে ২৭ ডিসেম্বরের নির্দেশটিই আপাতত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যের মুখ্যসচিবদের একটি চিঠি লিখেছেন।
সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ''বর্তমানে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের হাত ধরে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২ লক্ষেরও বেশি। যদিও বেশিরভাগ সক্রিয় রোগীই দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন।''
তিনি আরও লিখেছেন, ''এখনও পর্যন্ত কম সংখ্যায় সক্রিয় রোগীই হাসপাতালে রয়েছেন। তবুও এটি উদ্বেগের বিষয়, যে ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪০৭টি জেলা ১০ শতাংশের বেশি ইতিবাচকতার হার রিপোর্ট করছে। অতএব করোনাভাইরাসের বর্তমান প্রবণতা দেখে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।"
আরও পড়ুন- খোলা বাজারে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মিলবে Covishield-Covaxin, শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন DCGI-র
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে নির্দেশনা তৈরি এবং সংস্লিষ্ট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সংক্রমণ কিছুটা কমতেই বেশ কয়েকটি রাজ্য বিধি-নিষেধ শিথিলের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তবে তড়িঘড়ি এই প্রবণতা বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রের। মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে এই বিষয়টিরও উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। তিনি চিঠিতে এপ্রসঙ্গে লিখেছেন, ''স্থানীয়ভাবে নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-নিষেধ আরোপ এবং তুলে নেওয়ার বিষয়টি সব দিক ভেবে করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণের হার এবং হাসপাতালে ভর্তির অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।"
Read story in English