New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/sabarimala-7.jpeg)
শবরীমালা মন্দির শেষবার খোলার সময় সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। ফাইল ছবি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের 'অনুরোধ' জানিয়ে এই চিঠিটি পাঠিয়েছে 'শবরীমালা কর্ম সমিতি'।
শবরীমালা মন্দির শেষবার খোলার সময় সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। ফাইল ছবি।
শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশে বাধাদানকারী ভক্তকুলের একাংশ তথা দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলি রবিবার নয়া নজির গড়ল। সোমবার মন্দির খোলার প্রাক্কালে চিঠি পাঠানো হল সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের। খবর সংগ্রহের জন্য মহিলা প্রতিবেদকদের যাতে মন্দিরে পাঠানো না হয়, সে জন্য 'অনুরোধ' করা হয়েছে সম্পাদকদের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের 'অনুরোধ' জানিয়ে এই চিঠিটি পাঠিয়েছে 'শবরীমালা কর্ম সমিতি'। উল্লেখ্য, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু ঐক্যবেদীর মতো দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের নামই হল 'শবরীমালা কর্ম সমিতি'। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই বয়সসীমার (১০-৫০ বছর) মহিলা প্রতিবেদকরা শবরীমালায় খবর সংগ্রহ করতে আসলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। সংশ্লিষ্ট চিঠিটিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, "এই ইস্যুতে (শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশাধিকার না দেওয়া) ভক্তদের মতের পক্ষে বা বিপক্ষে যে অবস্থানই আপনারা গ্রহণ করুন, তবু আমরা আশা করব আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে"। সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছেন।
উল্লেখ্য, কেরলের দুর্গম পার্বত্য এলাকার শবরীমালা মন্দিরে শতাব্দী প্রাচীন রীতি অনুযায়ী ঋতুমতী মহিলাদের (১০-৫০ বছরের) প্রবেশাধিকার দেওয়া হত না। এই বয়সের মহিলাদের প্রবেশে 'চির ব্রহ্মচারী' দেবতা আয়াপ্পার মন্দিরের 'পবিত্রতা' ক্ষুণ্ণ হবে বলেই এমন রীতি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে এই শতাব্দী প্রাচীন রীতিকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আদালত, ওই মন্দিরে সব বয়সের মহিলার প্রবেশাধিকার সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। আর এরপরই ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠেছে 'ঈশ্বরের আপন দেশ'। আয়াপ্পা ভক্তদের একাংশ সুপ্রিম নির্দেশের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। তাদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে বিজেপি, আরএসএস, একাধিক হিন্দু সংগঠন-সহ কেরালা কংগ্রেসও। তবে, সে রাজ্যের বাম সরকার সুপ্রিম নির্দেশ বাস্তবায়িত করবে বলে জানিয়েছিল। তবুও, মন্দির খোলার পর ভক্তকুলের নজির বিহীন বিক্ষোভে শেষ পর্যন্ত ১০-৫০ বছর বয়সী একজন মহিলাও প্রবেশ করতে পারেননি।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাভাঙ্কোর বংশের শেষ রাজা চিঠিরা থিরুনাল বলরাম ভার্মার জন্মদিবস উদযাপনে 'চিঠিরা আত্মবিশেষম'উপলক্ষে সোমবার শবরীমালা মন্দিরের দুয়ার খুলবে। আর ওই দিন রাত ১০টাতে আবার মন্দির বন্ধও হয়ে যাবে। এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে এক মাসের জন্য মন্দির খোলা থাকবে। আর ঠিক এই সময় মহিলা প্রতিবেদকদের রুখতে চিঠি পাঠাল শবরীমালা কর্ম সমিতি। এই মুহূর্তে কেরল পুলিশ হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।
Read the full story in English