মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে প্রয়াত সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতিসৌধ তৈরিতে সায় নেই তাঁর পরিবারের। এখনই এব্যাপারে যাবতীয় বিতর্কের অবসান চান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রাজনৈতিক দলগুলিকেও এবিষয়ে সব ধরনের বক্তব্য বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রয়াত কিংবদন্তী গায়িকার পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ''আমরা মঙ্গেশকর পরিবার এই বিতর্কে জড়াতে চাই না। এই বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত। দিদির নামে রাজনীতি বন্ধ করা উচিত। আমরা শিবাজি পার্কে কোনও স্মৃতিসৌধ চাই না।''
তিনি আরও বলেন, ''রাজ্য সরকার দিদিকে একটি সঙ্গীত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল। দিদি এর জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, উচ্চ ও প্রযুক্তি শিক্ষামন্ত্রী উদয় সামন্ত এবং মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে দিদির অনুরোধ গ্রহণও করেছিলেন। তাঁরা সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছেন। তাঁর জন্য সেখানে একটি সংগীত স্মারক থাকবে, এর চেয়ে বড় কিছুই হতে পারে না।''
গত রবিবার প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। ৯২ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর। ওই দিন সন্ধেয় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
আরও পড়ুন- ‘ক্রিকেটের ব্যাপারে কিচ্ছু জানো না’, পতৌদি-বেগম শর্মিলা ঠাকুরকেও ধমকেছিলেন লতা!
এরপর গত সোমবার বিজেপির মুখপাত্র রাম কদম শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা নিবেদনে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরির দাবি করেন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা ও বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি দল সেই প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যাওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ লতা মঙ্গেশকরের পরিবারের সদস্যরা। সেই কারণেই যাবতীয় বিতর্ক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সতেজ পাটিল জানিয়েছেন, কোলহাপুরে লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা নিবেদনে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হবে। এখান থেকেই সংগীত জীবন শুরু করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তী গায়িকা।
Read story in English