Advertisment

বিস্তৃত হলো ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্র, কিন্তু শর্তসাপেক্ষ

এই নির্দেশিকা পয়লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে, ড্রোন কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই উড়বে, এবং ওড়ার সময় এবং সীমানা আগাম ঠিক করে দেওয়া হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি, সহ রাজ্য সচিবালয় ঘেরাটোপের মধ্যে ড্রোন ওড়ানো যাবে না।

বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি, সহ রাজ্য সচিবালয় ঘেরাটোপের মধ্যে ড্রোন ওড়ানো যাবে না।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) ড্রোনের বাণিজ্যিক ব্যবহারে ও রিমোট পরিচালিত বিমানের ওপর চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। সোমবার জানানো হয় কৃষি, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগের ত্রাণ, এছাড়া বিভিন্ন সেক্টর যেমন ফটোগ্রাফি, নিরাপত্তা, নজরদারির ক্ষেত্রে প্রাইভেট অপারেটরদের ড্রোন ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হবে। নিয়ন্ত্রক থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পেলোডের জন্য কোনোরকম অনুমতি দেওয়া হবে না। যার অর্থ কোনো ই-কমার্স কোম্পানি বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে খাদ্য বা পণ্য সরবরাহের জন্য ড্রোন ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।

Advertisment

এই নির্দেশিকা পয়লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ড্রোন কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই উড়বে, এবং ওড়ার সময় এবং সীমানা আগাম ঠিক করে দেওয়া হবে। সাধারণত ৪৫০ মিটারের জায়গা জুড়ে ঘুরতে পারবে ড্রোন। ন্যানো ড্রোন এবং ন্যাশনাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মালিকানাধীন অন্যান্যদের বাদে, বাকিদের নাম নথিভুক্ত করে একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দিয়ে তালিকাবদ্ধ করা হবে।

আরও পড়ুন:দেরাদুন থেকে দিল্লি, প্রথমবার দেশে জৈব-জ্বালানিতে উড়ল বিমান

তবে এই নিয়মের মধ্যেও রয়েছে বিধিনিষেধ। বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি, সহ রাজ্য সচিবালয়ের ঘেরাটোপের মধ্যে ড্রোন ওড়ানো যাবে না। এ ছাড়া সামরিক স্থান, বা রাজধানীর বিজয় চকে ড্রোন অপারেট করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিমান পরিবহন দপ্তর মন্ত্রী সুরেশ প্রভুই উল্লেখ করেছেন যে, কেরালায় ত্রাণ সরাবরাহর ক্ষেত্রে আরও বেশি কার্যকর হতে পারত ড্রোন, তবে এখন পর্যন্ত এই আইন প্রযোজ্য হয় নি। "আমরা অটো রিকশা থেকে বায়ু রিকশায় ভ্রমণ করতে যাচ্ছি। ড্রোনের মধ্যে রয়েছে একাধিক অ্যাপলিকেশন, দুর্যোগ, নজরদারি, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে অপরিহার্য হবে ড্রোন," বলেছেন বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা।

আরও পড়ুন: ভুল মেল পাঠিয়েছেন, চিন্তা নেই! মেল ফেরানোও আপনারই হাতে

সম্প্রতি নিষিদ্ধ রয়েছে ড্রোন ওড়ানো। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা কিছু ক্ষেত্রে ভিজুয়াল অপারেটরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সরকার দেশব্যাপী ২৩ টি রাজ্যকে চিহ্নিত করেছে, যেখানে ড্রোন প্রযুক্তি আরও উন্নতভাবে ব্যবহার করা হবে। সিনহার সভাপতিত্বে ড্রোন টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যারা ভবিষ্যতের জন্য সুপারিশ করবে। ড্রোন উড়ে যাওয়ার অনুমতি পাবে ডিজিটালরূপে। ডিজিটাল স্কাই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে, যা সরাসরি যুক্ত থাকবে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে। কখন উড়বে কখন নামানো হবে তার সবটাই নিয়ন্ত্রিত হবে স্থানীয় পুলিশের অধীনে।

Drone Civil aviation
Advertisment