Advertisment

জীবনদায়ী অঙ্গ বয়ে নিয়ে যাবে ড্রোন

আপাতত নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে দৃশ্যমান সীমানার বাইরে ড্রোন উড়ে যাওয়ার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে এই নতুন প্রকল্প। নির্ধারিত এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালের মাঝের করিডোর ধরে উড়ে যাবে ড্রোন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতে খুব শীঘ্রই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে চলেছে ড্রোন পরিষেবা। আপৎকালীন সময়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ড্রোনের সাহায্যে উড়ে যাবে জীবনদায়ী অঙ্গ। গত সপ্তাহেই এই মর্মে একটি ঘোষণা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা। ইতিমধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুমোদন পেলে হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হবে 'drone ports'। যেখান থেকেই ওঠানামা করবে ড্রোন।

Advertisment

ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিন থেকেই রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় লাইসেন্সগুলি এক মাস পর থেকে ভারতের ড্রোন আইন অনুযায়ী জারি করা হবে। ভারতে ড্রোন নীতির পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে দৃশ্যমান সীমানার বাইরে ড্রোন উড়ে যাওয়ার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে এই নতুন প্রকল্প, বলেন সিনহা। নির্ধারিত এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালের মাঝের করিডোর ধরে উড়ে যাবে ড্রোন। বর্তমানে সেই পথ নিয়েই বিবেচনায় ভারত সরকার। "ড্রোন পোর্টগুলি হাসপাতাল চত্বরে 'ড্রোন পলিসি 2.0' এর অধীনে পরবর্তী নীতির ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে খুব সহজেই অঙ্গ পৌঁছে যেতে পারে গন্তব্যস্থলে।"

আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে বিপুল হারে ব্যবহার হবে ইন্টারনেট পরিষেবা, নেপথ্যে ফাইভ জি

প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসে সংশোধন করা হয় ড্রোন নীতির। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) ড্রোনের বাণিজ্যিক ব্যবহারে ও রিমোট পরিচালিত বিমানের ওপর চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করে। সে সময় জানানো হয় কৃষি, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগের ত্রাণ, এছাড়া বিভিন্ন সেক্টর যেমন ফটোগ্রাফি, নিরাপত্তা, নজরদারির ক্ষেত্রে প্রাইভেট অপারেটরদের ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে সিনহা বলেন, ড্রোন পলিসির বদলের প্রয়োজন ছিল। তবে সম্প্রতি যে বদলের প্রয়োজন তা হল, 'একজন পাইলট নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একাধিক ড্রোন চালানোর অনুমতি পাবেন'।

নিয়ম করা হয়েছে, ড্রোন কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই উড়বে, এবং ওড়ার সময় এবং সীমানা আগাম ঠিক করে দেওয়া হবে। সাধারণত ৪৫০ মিটারের জায়গা জুড়ে ঘুরতে পারবে ড্রোন। ন্যানো ড্রোন, ন্যাশনাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মালিকানাধীন অন্যান্যদের বাদে, বাকিদের নাম নথিভুক্ত করে একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দিয়ে তালিকাবদ্ধ করা হবে।

আরও পড়ুন:তিন হাজার কোটির ক্ষেপণাস্ত্র! অনুমোদন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

ড্রোন রেগুলেশন 1.0-এর অধীনে নির্ধারিত করা হয় যে সম্পূর্ণভাবে অনলাইন মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। সবটাই ঘটবে ডিজিটাল মাধ্যমে। "ডিজিটাল স্কাই প্ল্যাটফর্মটি প্রথম জাতীয় মানবসম্পদ, যা পরিচালিত হবে বিমান পরিষেবার মাধ্যমে। একবার ড্রোন ওড়ানোর জন্য একবার নিবন্ধীকরণ করতে হবে। সবটাই ঘটবে অনলাইনে।

এই সমস্ত "ন্যানো" প্রকারের ড্রোনের ওজন হবে ২৫০ গ্রাম। সরকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ছাড়া একটি পৃথক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ইউআইএন) দিয়ে তৈরি ড্রোন পরিষেবা চালু করতে হবে। নিয়মাবলী অনুযায়ী, "নিয়ন্ত্রিত বিমানের উড়ে যাওয়া, ফ্লাইট প্ল্যান জমা দেওয়ার জন্য এবং বিমান প্রতিরক্ষা ক্লিয়ারেন্স / ফ্লাইট ইনফরমেশন সেন্টার নম্বরের প্রয়োজন হবে।" অবশ্য বিমানবন্দরগুলির কাছাকাছি, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি, দিল্লিতে বিজয় চৌক, রাজধানীর রাজ্য সচিবালয়, এবং অত্যাবশ্যক সামরিক এলাকার মধ্যে ড্রোনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

Drone
Advertisment