Bangladesh Durga: বাংলাদেশে ইসলামিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর দুর্গাপুজো পণ্ড করতে মৌলবাদীদের সক্রিয়তা বেড়েছে। পুজো আয়োজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় উদ্যোক্তাদেরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মহালয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রংপুর সদরে লাহিড়িরহাট ছুতারপাড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। পাশাপাশি, কিশোরগঞ্জ-সহ অন্যান্য জায়গা থেকেও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন জায়গায় পুজো আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় হিন্দুদের বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে খুলনার দাকোপ এলাকায় আবার বিভিন্ন মন্দিরে বেনামি চিঠি দিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সব চিঠিতে মন্দির কমিটির পরিচালকদের কাছে পুজো করলে পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা দিতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু তোলা চাওয়াই নয়। হুমকি চিঠিতে বলা হয়েছে, হুঁশিয়ারি না মেনে পুজোর আয়োজন করলে ভোগ করতে হবে চরম পরিণতি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, 'চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে দুর্গাপুজো আয়োজন করতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শুধু তাই নয়, চিঠিতে বলা হয়েছে যে ওই চিঠির ব্যাপার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বা গণমাধ্যমের কাছে জানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হবে।' অথচ, এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে পেরেছে। পাকিস্তানের সেনা সেদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেও আত্মসমর্পণ করেনি। লিখিতভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল ভারতীয় সেনার কাছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সেদেশের হিন্দুদের যোগদানও ছিল বহুলাংশে। তারপরও স্রেফ ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশে হুঁ থেকে টুঁ করতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে বারবার।
আরও পড়ুন- আরবভূমে মহাযুদ্ধ! বড় ভূমিকা নিতে চলেছে মোদীর ভারত?
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরই শুধু নয়, পাহাড়ে বৌদ্ধদের ওপরও মৌলবাদীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর, সেই কাজে মৌলবাদীদের বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করেছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এই চরম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অস্থিরতা রুখতে সেদেশের হিন্দুদের একাংশ ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।