কলকাতার দুর্গা পুজো কমিটিগুলির উপর কোনও আয়কর ধার্য করা হচ্ছে না। এ সম্পর্কে যা প্রচার চলছে তা অসত্য। দেশের অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
১৩ অগাস্টের জারি করা সিবিডিটি-র মুখপাত্র সুরভি আলুওয়ালিয়ার স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বছর আয়কর দফতরের তরফ থেকে দুর্গাপুজা কমিটি ফোরামকে কোনও নেটিস পাঠানো হয়নি।
আরও পড়ুন, দলবদলের খেলায় কি পিছিয়ে পড়ছেন মুকুল রায়?
তবে একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুজো কমিটিগুলির আওতায় থাকা বেশ কিছু ঠিকাদার কর না দেওয়ায় তাঁদের নোটিস জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৩০টি পুজো কমিটিকে ডেকে তাঁদের হয়ে কাজ করা ঠিকাদার ও ইভেন্ট ম্যানেজারদের টিডিএস- এর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় এবং তাঁদের দেওয়া টিডিএস সার্টিফিকেটও চাওয়া হয়। ঠিকাদার এবং ইভেন্ট ম্যানেজাররা যাতে বকেয়া কর ঠিক সময়ে জমা দেন তা নিশ্চিত করতেই এই রুটিন উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে।
এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে মঙ্গলবারই
বেশ কিছু কমিটি বিষয়টি জানা-বোঝার জন্য শিক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করার অনুরোধ জানানোর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় আটটি এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বলে জানানো হয়েছে। পুজো কমিটিগুলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার অভিপ্রায়ে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই পুজো কমিটির উপর আয়কর চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নবগঠিত মহিলা সংগঠন বঙ্গজননী। সেই দিনেই এই বিবৃতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে জানানোর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।