অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাদে লকডাউনে ই-কমার্সের কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। তবে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহে কোনও বাধা নেই বলে জানানো হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই মর্মেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
লকডাউনে মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তারপর গত বুধবার, নতুন নির্দেশিকা জারি হয়। সেখানেই উল্লেখ ছিল যে, লকডাউনে ২০ এপ্রিল থেকে ই-কামার্সের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ ছাড়া রবিবার নির্দেশিকা জারি করে ই-কমার্সের বাকি ক্ষেত্রে ছাড় প্রত্যাহার করল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- প্যারাসিটামল ক্রেতাদের নামের রেকর্ড রাখুন, ওষুধের দোকানগুলোকে নির্দেশ চার রাজ্যের
দেশের আর্থিক অবনতির কথা মাথায় রেখে লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বে ই-কমার্সে কিছু ক্ষেত্রকে ছাড় দিয়েছিল মোদী সরকার। জানানো হয়েছিল, ই-কমার্সের ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০ এপ্রিল থেকে অনলাইনে অনাবশ্যকীয় পণ্য বেচতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনলাইন ব্যবসাকে সচল রাখতে যে গাড়িগুলি ব্যবহার করা হবে লকডাউনে তাতে ছাড় মিলবে। তবে এদিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ই-কমার্সের কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের জন্য নতুন করে প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন- নিজস্ব কৌশলেই ব়্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার করছে রাজ্যসমুহ
সূত্রের খবর, বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর চাপেই আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী কেন্দ্রকে ১৮ এপ্রিল চিঠি দিয়ে লকডাউনে ই-কমার্সে অনাবশ্যকীয় পন্য বিক্রির সিন্ধান্তের নিয়ে আপত্তির কথা জানায়। প্রশ্ন তোলা হয়, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হলে কেন ই-কমার্সে বিক্রি চালু থাকবে? মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে বলে অভিযোগ করা হয়। এরপরই রবিবার সিদ্ধান্ত বদল করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পর কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সম্পাদক প্রবীণ খান্দেলওয়াল বলেছেন, 'সাত কোটি ব্যবসায়ী এর ফলে উপকৃত হল। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমণ্ডলকে ধন্যবাদ।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন