কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। যা মনে করা হচ্ছে, বছরের শেষেও আন্দোলন তোলার লক্ষণ দেখাচ্ছেন না কৃষকরা। রিলে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষক নেতারা। এদিকে, কৃষকদের ফের আলোচনায় বসার দিন ঠিক করতে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্র। এর মধ্যেই বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে বেসুরো শরিক দল। হরিয়ানা জোট সরকারের শরিক জননায়ক জনতা পার্টির নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা বৃহস্পতিবার বলেন, কৃষি আইনে অনেক সংশোধন দরকার। কৃষকরা সেই সংশোধনে পরামর্শ দিন, আবেদন চৌটালার।
তিনি এও দাবি করেছেন, যেদিন তাঁর মনে হবে কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেদিনই পদত্যাগ করবেন। এদিন চণ্ডীগড়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আলোচনায় বসলে আইনে সংশোধন সম্ভব। আমরাও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছি কেন্দ্রকে। তার বেশ কিছু মেনে নিয়েছে কেন্দ্র।" প্রসঙ্গত, এদিনই কৃষি আইন প্রত্য়াহারের দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, গুলাম নবি আজাদ, অধীর চৌধুরিরা। কৃষি আইনগুলো ‘কৃষক বিরোধী’ এবং এর ফলে কৃষকদের বিরাট ক্ষতি হবে, একথা রাষ্ট্রপতিকে বলেন রাহুল।
আরও পড়ুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ রাহুলদের
রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, কৃষি ব্য়বস্থাকে ধ্বংস করছেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই যে, যতক্ষণ না আইন বাতিল করা হচ্ছে, এই কৃষকরা বাড়ি ফিরবেন না। সংসদে যৌথ অধিবেশন ডাকুক সরকার এবং আইন প্রত্য়াহার করুক’’। এর আগে, রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার পথে রাহুলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস নেতাদের আটকায় দিল্লি পুলিশ। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাদের আটক করা হয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন