তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংয়ের বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। বৃহস্পতিবার কে ডি সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের বাড়ি থেকে ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অমিত শাহের বৈঠকের দিনই কে ডি-র বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
On the day @MamataOfficial met @AmitShah, @dir_ed raided TMC MP KD Singh. It now claims to have recovered cash of Rs 32 lakhs along with 10,000 USD, “documents reflecting circular transactions, digital evidences and property documents” from his residence in Delhi. @IndianExpress
— Deeptiman Tiwary (@DeeptimanTY) September 20, 2019
https://platform.twitter.com/widgets.js
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের বাড়িতে ফের সিবিআই, তল্লাশি বিষ্ণুপুরের রিসর্টেও
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই নারদকাণ্ডে ম্যাথু স্যামুয়েল ও কে ডি সিংকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। জানা যায়, সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই ম্যাথু জানান, শুধু অভিষেকই নয়, তৃণমূলের কোন কোন নেতার উপর স্টিং অপারেশন করতে হবে, সে নির্দেশ তাঁকে দিতেন স্বয়ং কেডিই। নারদ স্টিং অপারেশন চালানোর জন্য তাঁকে অর্থও দিতেন কেডি সিং, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের সামনে এমন দাবি করেছেন নারদকর্তা ম্যাথু। উল্লেখ্য, নারদ স্টিং অপারেশনের বরাত যে তাঁকে কেডি সিং-ই দিয়েছিলেন, এমন দাবি অতীতেও করেছেন ম্যাথু স্যামুয়েল। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর স্টিং অপারেশন করতে বলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কানওয়ার দীপ সিং (কেডি সিং), এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করেছেন নারদ নিউজের সম্পাদক ম্যাথু স্যামুয়েল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ম্যাথু স্যামুয়েলের করা নারদ স্টিং অপারেশনে হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। নারদ স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা যায়। যে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর শোরগোল পড়ে যায়। পরবর্তীক্ষেত্রে এ ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। ইতিমধ্যেই এ মামলায় তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জার কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Read the full story in English