কেন্দ্র-বিরোধী বিক্ষোভে রাশ টানতে এবার ময়দানে ইডি? সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরপর দু'টি বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সেই অবরোধ-বিক্ষোভের জেরে সরকারি সম্পত্তিতেও বেপরোয়া ভাঙচুর চলেছে। পয়গম্বরের উদ্দেশ্যে নুপূর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলে। এরই পাশাপাশি কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদেও পথে নেমে লাগাতার দিন কয়েক ধরে বিক্ষোভ দেখায় যুবসমাজ। এই দুই বিক্ষোভেই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি বহু সরকারি সম্পত্তিতেও বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। এবার এই দুই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছে ইডি।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সেব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। দেশের অন্য রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশেও পয়গম্বরকে উদ্দেশ্য করে করা মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলে। সেই বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে বিশদে জানতে এবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পুলিশের কাছে নথি এবং মামলার কাগজপত্র চেয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। একইসঙ্গে বিহারে অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভের পিছনে কয়েকটি কোচিং সেন্টারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডি-র এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, ''আমরা দু'টি মামলাই টাকা জোগান দেওয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষা করে দেখছি। জানা গিয়েছে, নবীকে নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভের পিছনে নির্দিষ্ট একটি সংস্থা জড়িত রয়েছে। যাঁরা ইসলামী ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে কৌশলে বিক্ষোভে আগ্রাসী মনোভাব যুক্ত করার ফন্দি এঁটেছিল। ইতিমধ্যেই আরও কয়েকটি বিক্ষোভে মদত দেওয়ার জন্য সংস্থাটির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আমরা উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে নথি চেয়েছি। ইতিমধ্যেই সংস্থাটির বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।''
আরও পড়ুন- ‘দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত শুভেন্দুও’, গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামছে তৃণমূল
অন্যদিকে, অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়েও দেশের একাধিক রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে বিহারেও। অগ্নিপথ বিক্ষোভের পিছনে বিহারের কয়েকটি কোচিং সেন্টারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এপ্রসঙ্গে ইডি-র ওই আধিকারিক বলেছেন, ''ইডি অগ্নিপথ বিক্ষোভের সময় কয়েকটি কোচিং সেন্টারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। বিহারের বিক্ষোভে কিছু কোচিং সেন্টার ইন্ধন জুগিয়েছিল। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি আমরা তাঁদের এই বিক্ষোভে টাকার জোগান দেওয়ার প্রমাণ পাই, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে PMLA-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''