এলগার পরিষদকাণ্ডে ধৃত সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে শুক্রবার দাবি করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানের পরের দিনই মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও অঞ্চলে হিংসা ছড়ায়। যে ঘটনার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যেই কয়েকজন সমাজকর্মী এবং বুদ্ধিজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে দেশজুড়ে।
এদিন মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজিপি পরম বীর সিং বলেন, তাঁদের হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলার পরই তাঁরা সমাজকর্মীদের গ্রেফতার করেছেন। ধৃত সমাজকর্মীদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ নিয়েও যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ঘটনায় ধৃত রোনা উইলসনের বাড়ি থেকে হাজার খানেক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এডিজিপি জানিয়েছেন, রাজীব গান্ধীর কায়দায় মোদী-রাজ শেষ করা নিয়ে ইমেলে রোনা উইলসনের সঙ্গে এক সিপিআই-মাওবাদী নেতার কথোকপকথন মিলেছে। ওই ইমেলে গ্রেনেডের জন্য টাকা নিয়েও কথা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোনার পাসওয়ার্ড দেওয়া ডিভাইস থেকেই ওই নথি মিলেছে। পুণে পুলিশ ডিকোড করে ওই নথি বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে বলে খবর।
আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ কাণ্ডে ধৃতদের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের সঙ্গে হাজার হাজার চিঠি আদানপ্রদান করা হয়েছে। এডিজিপি বলেন, "কমরেড প্রকাশকে একটি চিঠি লিখেছেন সুধা ভরদ্বাজ। যেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রকাশের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যেও চেয়েছেন সুধা।"
সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল বলেও পুলিশের তরফে এদিন জানানো হয়। সমাজকর্মীদের কাজে লাগিয়ে সরকার ফেলে অল ইন্ডিয়া ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে রত ছিলেন মাওবাদীরা, এমন কথাও এদিন জানানো হয় পুলিশের তরফে। ভীমা কোরেগাঁও হিংসার পরবর্তী সময়ে সিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে ধৃত কর্মীদের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বলেও এদিন পুলিশ জানিয়েছে।