scorecardresearch

EC-কে আইন মন্ত্রকের তলব, ‘পিএম-ও নির্বাচন কমিশনকে বৈঠকে ডাকতে পারেন না’, সরব কুরেসি

Election Commission: ‘সরকার যেমন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন না। একইভাবে নির্বাচন কমিশনকে সরকারি কোনও বৈঠকে ডাকা যায় না।’

CEC, Law Ministry, SY Qureshi
দেশের তিন নির্বাচন কমিশনার।

Election Commission: আইন মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা খর্ব করবে। শুক্রবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটাই জানান দেশের একাধিক প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সরকারি তরফে নেওয়া এই ধরনের পদক্ষেপ গুরুতর সিদ্ধান্ত। এই মন্তব্যে করে এসওয়াই কুরেশি বলেন, ‘এই পদক্ষেপের কোনও ব্যাখ্যা নেই। সরকার যেমন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন না। একইভাবে নির্বাচন কমিশনকে সরকারি কোনও বৈঠকে ডাকা যায় না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে না।‘

প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কুরেশির মন্তব্য, ‘সরকার এবং স্বাধীন সংস্থা নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হলে জনমানসে সন্দেহ তৈরি হয়। আমাদের আধিকারিকরা এসব কিছু জানেন। নির্বাচনী সংস্কারের প্রস্তাব এঁদের থেকেই আসে। এঁরা প্রশিক্ষিত, দক্ষ এবং কমিশনের প্রস্তাব, সিদ্ধান্ত সরকারের অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব এঁদের। তাই ইন কমিশনারকেই সরকারি বৈঠকে উপস্থিত হতে হবে। এই তত্ত্বের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।‘ এদিকে,

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং দুই নির্বাচন কমিশনার, রাজীব কুমার এবং অনুপ চন্দ্র পান্ডে গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডাকা অনলাইন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আইন মন্ত্রকের কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার ঠিক একদিন পরেই ছিল ওই বৈঠক। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রকের থেকে ওই চিঠি পাওয়ার পরেই কমিশনের অন্দরে একটি সাময়িক অস্থিরতা তৈরি হয়ছিল। চিঠিটি যেন একটি সমনের মতো ছিল। এমনকী চিঠি পাঠানোর সেই প্রক্রিয়াটিকে নজিরবিহীন এবং সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘনের মতো কাজ বলেও একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জেনেছে, যথাযথতার প্রশ্ন তুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং দুই নির্বাচন কমিশনার, রাজীব কুমার এবং অনুপ চন্দ্র পান্ডে, রিজার্ভেশন প্রকাশ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডাকা ওই অনলাইন বৈঠেক তাঁদের যোগ দিতে হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর এই ইস্যুতেই দুটি বৈঠকে হয়েছিল। সেই বৈঠক দুটিতে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা অংশ নিয়েছিলেন। যদিও কমিশনারদের সেই বৈঠকে উপস্থিত হতে হয়নি।

আরও পড়ুন- পরবর্তী সিডিএস খুঁজছে কেন্দ্র, বাড়তি দায়িত্ব নারাভানের কাঁধে

এব্যাপারে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের মন্তব্য পাওয়া না গেলেও কমিশনের একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই চিঠি পাওয়ার পর তিনি অপমানিত বোধ করেন। তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানান। তবে এই নোট সম্পর্কে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রকের একজন আধিকারিকও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Even pm could not sit with election commissioner national