Advertisment

আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য শিক্ষা, চাকরিতে সংরক্ষণ বৈধ, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সংবিধানকে কোনভাবেই লঙ্ঘন করে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Supreme Court suspends CBI-ED probe into municipal recruitment corruption

সুপ্রিম কোর্ট।

আজ আর্থিক অনগ্রসরদের সংরক্ষণ ইস্যুতে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। আর্থিক অনগ্রসরদের সংরক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত। গত সেপ্টেম্বরে শুনানির পর এই রায় সংরক্ষিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisment

আর্থিক অনগ্রসর সংরক্ষণ ইস্যুতে ঐতিহাসিক রায় দান শীর্ষ আদালতের। ১০শতাংশ সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে বলেই এদিনের রায়ে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের মধ্যে চারজন আর্থিক অনগ্রসরদের সংরক্ষণ পক্ষে রায় দিয়েছেন। শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সংবিধানকে কোনভাবেই লঙ্ঘন করে না।

আর্থিক অনগ্রসর সংরক্ষণ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এই ১০ শতাংশ সংরক্ষণকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী আর্থিক অনগ্রসরদের সংরক্ষণকে বহাল রেখেছেন। তিনি বলেন, এই কোটা সংবিধানের মূলনীতি ও চেতনার লঙ্ঘন করে না। মহেশ্বরী ছাড়াও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী সংরক্ষণের পক্ষে মত দেন। তিনি ছাড়াও বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালাও অনগ্রসরশ্রেণীর ১০ সংরক্ষণ শতাংশ সংরক্ষণকে মান্যতা দিয়েছেন।

সংরক্ষণের বাইরে থাকা সাধারণ শ্রেণির একটা বিরাট অংশই আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সরকারি চাকরি বা শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই এ ধরনের মানুষদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় যাতে নিয়ে আসা যায় তার জন্য ১০৩-তম সংবিধান সংশোধনের ভাবনাচিন্তা হয়। তারই বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট ইডব্লিউএস-এর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন, যেখানে বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা পক্ষে রায় দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : < টুইটারের পথেই কর্মী ছাঁটাই মেটার? রিপোর্ট ঘিরে উদ্বেগ! >

বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী বলেন, “আমি বিচারপতি মহেশ্বরীর সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, আর্থিক অনগ্রসর সংরক্ষণ বৈধ ও সাংবিধানিক। তবে প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও বিচারপতি এস. রবীন্দ্র অনগ্রসর সংরক্ষণকে ‘বেআইনি ও বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।

বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি এস. রবীন্দ্র ভাটই একমাত্র এই সংরক্ষণকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত। তাঁদের মতে, এই আইন বৈষম্যপূর্ণ এবং সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী। সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীর মাধ্যমে, ২০১৯ সালে সংসদ থেকে আর্থিক অনগ্রসর সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে একাধিক পিটিশনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যার উপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় দিয়েছে।

আর্থিক অনগ্রসর সংরক্ষণ বৈধতা নিয়ে রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এটাও বিবেচনা করা দরকার যে কতদিনের জন্য সংরক্ষণের প্রয়োজন? তিনি আরও বলেন ‘বৈষম্য দূর করার জন্য সংরক্ষণ চূড়ান্ত সমাধান নয়। এটা একটা শুরু মাত্র’। এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সুপ্রিম কোর্ট আর্থিক অনগ্রসর সংরক্ষণের বৈধতা অনুমোদন করার পরে, এই একই প্যাটার্নে রাজ্যগুলি তাদের অনগ্রসর ‘জাতিকে সংরক্ষণ’ দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে।

supreme court
Advertisment