শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ৯ অগাস্ট দিল্লির এইমসে ভর্তি হন অরুণ জেটলি। শনিবার ১২টা ৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসেও এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন জেটলি। ২০১৮ সালের ১৪ মে বিদেশে কিডনি প্রতিস্থাপন হয় জেটলির। সে সময় শারীরিক অসুস্থতার জেরে জেটলির অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নেন পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় বাজেটও পেশ করতে পারেননি জেটলি। তাঁর পরিবর্তে বাজেট পেশ করেন পীযূষ গোয়েল।
Live Blog
Former finance minister Arun Jaitley dead Updates: প্রয়াত দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এই সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
শারীরিক অসুস্থতার জেরেই এবার লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি জেটলি। মন্ত্রীত্ব থেকেই অব্যাহতি নেন তিনি। প্রথম মোদী সরকারে জিএসটি ও নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার ক্ষেত্রে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জেটলি।
অরুণ জেটলির শেষ যাত্রায় উপস্থিত মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, গৌতম গম্ভীর সহ আরও অনেক নেতা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদীও। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হবে বিজেপির প্রবীণ এই নেতার শেষকৃত্য। বিজেপির সদর দফতর থেকে নিগমবোধ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অরুণ জেটলির মৃতদেহ।
ভারতের জাতীয় পতাকা জড়িয়ে জেটলির কফিন বন্দি দেহ রাখা হয় দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে। সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং হর্ষ বর্ধন।
বিজেপির সদর দফতরে অরুণ জেটলিকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং সহকর্মী অমিত শাহ এবং বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ নাড্ডা।
সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ভারতের অর্থনৈতিক নীতিতে যে ছাপ রেখেছিলেন, তা ভোলার নয়। আগামী দিনে ভারতের অর্থনীতি যে পথে এগোবে, তার ভিত কিন্তু তৈরি করে গেলেন এই মানুষটিই। অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন এনেছিলেন জেটলি। ভারতে পণ্য ও পরিষেবা কর অথবা জিএসটি চালু করায় তিনি অন্যতম প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। সবিস্তারে পড়ুন: ভারতের অর্থনীতিতে জেএসটি এবং দেউলিয়া বিধি এসেছিল জেটলির হাত ধরেই
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জেটলির বাসভবনে যান অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু
গোটা রাজনৈতিক জীবন জুড়েই কংগ্রেসের কট্টর সমালোচক ছিলেন জেটলি। ঠিলেন দারুণ কৌশলী, দুধর্ষ বক্তা, এবং এক প্রশিক্ষিত আইনজীবী। কিন্তু এ সবের চেয়েও তাঁর যে পরিচয় সবচেয়ে বড়, তা হল দলের সমস্যায় তিনি ছিলেন প্রথমসারির সমাধানকারী। নির্বাচনে তার করিশ্মা দেখানোর আগেই বিজেপি-কে দেশজোড়া মানুষের বৈঠকখানায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী রূপে আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন দিল্লির লুটিয়েন ও তাঁর বিজেপির মধ্যেকার সেতুবন্ধন। সবিস্তারে পড়ুন: বিদায় জেটলি: এক লড়াকুর অবসান
অরুণ জেটলিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান ভারতে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের প্রধান স্যর ডোমিনিক অ্যাসকিথ।
অরুণ জেটলিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জেটলির বাড়িতে যান কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা
অরুণ জেটলিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জেটলির বাড়িতে যান কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা
অরুণ জেটলির দুর্লভ ছবি দেখুন, এখানে- বিদায় জেটলি…বিরল ছবিতে ফিরে দেখা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর জীবন
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেহ সকাল ১০.৩০ থেকে বিজেপি সদর দফতরে রাখা হবে জনগণের জন্য। বিজেপি তরফে টুইটারে ঘোষণা করেছে এই খবরটি।
অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, “আমি গভীর ভাবে দুঃখিত যে আমি মেন্টরকে হারালাম। তিনি আমার বড়ো দাদার মতো ছিলেন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাহায্যর প্রয়োজন হলে সবসময় পাশে থাকতেন। আমার এবং আমার পরিবার একজন কাছের মানুষকে হারালাম।”
সুদূর বাহরিন থেকে অরুণ জেটলিকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি এই মুহুর্তে অনেক দূরে আর তখনই আমার বন্ধু চলে গেলেন। কিছুদিন আগেই আমরা সুষমাজি কেও হারিয়েছি। তিনি ছিলেন আমার বোনের মতো”।