কাতারে ৯০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আটক ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মী-আধিকারিক। মুক্তির দাবিতে কোন খামতি রাখেনি ভারত সরকার। এসবের মাঝেই সামনে এল এক বড় আপডেট। আটক নৈসেনা আধিকারিকের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতে শুনানি শেষে প্রাক্তন নৌসেনাদের হেফাজতের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ তাদের মুক্তির আশা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কী অভিযোগে তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে, তার কোন তথ্য এখনও পর্যন্ত হাতে আসেনি। রবিবার, তিন বিচারপতির একটি ডিভিশন বেঞ্চ একটি শুনানি শেষে প্রাক্তন নৌবাহিনীর সদস্যদের পুলিশি হেফাজত আরও এক মাস বাড়িয়েছে,
গত ৩০ আগস্ট রাতে ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তারা সকলেই কাতারে জেলবন্দী। ঠিক কী কারণে তাদের আটক করা হয়েছে সে ব্যপারে কোন তথ্য পরিবারকে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে তাদের পরিবার। আটক প্রাক্তন সেনাকর্মীদের পরিবার তাদের সকলের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। আটক হওয়া নৈসেনা কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন কমান্ডার (অব.) পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, একজন ভারতীয় প্রবাসী যিনি ২০১৯ সালে প্রবাসী ভারতী সম্মান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
খবর অনুসারে জানা গিয়েছে অবসর নেওয়ার সকলেই কাতারের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কোম্পানির নাম Dahra Global Technology and Consultancy Services. সংস্থাটি নিজেকে কাতার প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সরকারী সংস্থার স্থানীয় অংশীদার হিসাবে বর্ণনা করে।
আরও পড়ুন: < আহমেদাবাদে ভোট দিলেন মোদী, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ঘিরে উৎসবের মেজাজ গুজরাটে >
অবসর প্রাপ্ত নৈসেনা আধিকারিক পূর্ণেন্দু তিওয়ারির বোন ডাঃ মিতু ভার্গব বলেন, দাদার মুক্তি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগে রয়েছি। আমার দাদাকে কেন এবং কোন অভিযোগে আটক করা হয়েছে তার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই?আটকের পর ৯০ দিনের বেশি হয়ে গেছে। ভারত সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব সকলেই মুক্ত করা"।
আগস্টের শেষের দিক থেকে কাতারের জেলে থাকা আট প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনী আধিকারিককে মুক্তির দাবিকে জোরদার করার জন্য ভারত সরকার একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে দোহায় পাঠিয়েছে। কাতারে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৮ প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই কাতারের একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর, ওই আধিকারিক অক্টোবরের শেষের দিকে দোহায় যান। গত ১০ দিনে, ভারত সরকার ওই নৌবাহিনীর আধিকারিকদের মুক্তি নিয়ে কাতার সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান সূত্র বের হয় নি। গত সপ্তাহেই মনে করা হচ্ছিল এই আট কর্মকর্তাকে কয়েকদিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, অবসর নেওয়ার পর এই ৮ জন নৌসেনা আধিকারিক কাতারের একটি বেসরকারি কোম্পানি দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজি অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। সংস্থাটি নিজেকে কাতার প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার স্থানীয় অংশীদার হিসাবে বর্ণনা করে।