ক’দিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছে গোটা দেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সিএএ-র সমর্থনে জোর সওয়াল করলেন মোদী মন্ত্রিসভার অন্যতম শীর্ষ সদস্য এস জয়শঙ্কর। ইটি গ্লোবাল বিজনেস সামিটে বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিশ্বের কোনও দেশই সকলকে স্বাগত জানায় না’’।
এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব ইস্যুতে সকল দেশেরই একটা মানদণ্ড থাকে। বিশ্বে এমন একটা দেশকে দেখান, যেখানে সকলকে স্বাগত জানানো হয়। কেউ করে না এমনটা’’। এরপর বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এই আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন মানুষদের আমরা বৈধতা দিতে চেয়েছি, এজন্য প্রশংসা করা উচিত। আমরা এই আইন করেছি, কারণ, আমাদের নিজেদের জন্য যাতে কোনও বড় ধরনের সমস্যা না তৈরি হয়’’।
আরও পড়ুন: সিএএ শুনানি শবরীমালা মামলার নিষ্পত্তির পরই: সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, সিএএ বিরোধিতায় গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। সিএএ পাসের পরই দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে। কয়েকদিন আগেই সিএএ-কে ঘিরে সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয় দিল্লি। কলকাতার পার্ক সার্কাস ও দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ বিরোধিতায় অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত। সিএএ বিরোধিতায় বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভায় প্রস্তাব পাস হয়েছে।
এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৪৩টি আবেদন জমা পড়েছে আদালতে। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সিএএ সংবিধান বিরোধী। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাংসদরা, এআইএমআইএম প্রেসিডেন্ট আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ কিশোর দেব বর্মন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন