লোকসভা ভোটের আগে কৃষক সমস্যা নিয়ে আরও একবার অস্বস্তিতে পড়তে হল মোদি সরকারকে। আবারও মহারাষ্ট্রে এক কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে খবর। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিদর্ভ এলাকার ওই আত্মঘাতী কৃষকের সুইসাইড নোট। নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীতির জেরেই যে তিনি সমস্যায় পড়ে আত্মহত্যা করেছেন, সেকথা সুইসাইড নোটে পরিস্কার লিখেছেন ওই কৃষক। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও ঋণের বোঝা, এই দুইয়ের জেরে ওই কৃষক জর্জরিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকার ইয়াভাতমাল জেলার বাসিন্দা ওই কৃষক। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে সুইসাইড নোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামও উল্লেখ করেছেন ওই কৃষক। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন যে, বিশাল টাকার ঋণ ও ফসলের ক্ষতিতে জেরবার ছিলেন। নরেন্দ্র মোদি সরকারই যে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী, সেকথাও লিখেছেন ওই কৃষক। তবে কৃষকের মৃত্যু ঠিক কীভাবে হয়েছে তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকি, সুইসাইড নোটটি আদৌ ওই কৃষকেরই কিনা সে ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত কৃষকের ময়নাতদন্তের পরই এ ব্যাপারে অনেকটাই স্পষ্ট হওয়া যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, দলিতদের মন পেতে মরিয়া মোদি, আম্বেদকরের জন্মদিনে নয়া কর্মসূচি
কিছুদিন আগেই কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল মহারাষ্ট্র। দীর্ঘ ৬-দিন ধরে ১৬০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে নাসিক থেকে মুম্বই পৌঁছেছিলেন কৃষকরা। ঋণ মকুবসহ বিভিন্ন দাবি জানাতে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশের সঙ্গে দেখা করতে এই অভিযান হয়েছিল। অখিল ভারতীয় কিষাণ সভার ডাকে গত ৬ মার্চ নাসিকের সিবিএস চক থেকে শুরু হয়েছিল এই পদযাত্রা। শেষমেষ কৃষক ও আদিবাসী মানুষের এই মিছিলের কাছে মাথা নোয়াতে হয় ফডনবীশ সরকারকে। কৃষকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ার কথাও পরে জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
কৃষক বিক্ষোভকে সামনে রেখে আসনে নামেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ট্যুইটারে তিনি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
শুধু তাই নয়, এ বছর বাজেটে কৃষকদরদি সরকার হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে কম কসুর করেনি মোদি সরকার। এ বছরের বাজেটে কৃষকদের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাবের ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তারপরেও যে কৃষক সমস্যা মেটেনি, তা মহারাষ্ট্রের এই ঘটনাতেই স্পষ্ট হল।