রাত পোহালেই ভারত বনধ। তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার ভারত বনধ ডেকেছেন কৃষকরা। কৃষকদের ডাকা বনধকে সমর্থন জানিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। ফলে, গোটা দেশেই এই বনধের প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিকবার সরকারের সঙ্গে কৃষক পক্ষের বৈঠকে কোনও রফা মেলেনি। আইন বাতিল করতেই হবে, দাবিতে অনড় ‘অন্নদাতা’রা।
বনধ উপলক্ষে কোনও দোকান জোর করে বন্ধ করা যাবে না, সোমবার একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষকরা। কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভারত বনধ পালিত হবে। কিন্তু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে’’।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বনধ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জোর করে দোকান বন্ধ বা সাধারণের গতিবিধি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষকদের পাশে বিরোধীরা, তীব্র নিশানা বিজেপির
কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। তবে, কৃষকরা শর্ত দিয়েছেন নিজেদের ব্য়ানার ছেড়ে বনধে শামিল হতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ১৫টি দল। ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, ডিএমকে, আপ, আরজেডি, সপা, বসপা, উপত্য়কার গুপকর দল, বামেরা। কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। তবে, যেহেতু মমতা সরকারের নীতি বনধ বিরোধী। তাই তারা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাবে। মঙ্গলবার ব্লকে ব্লকে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
ভারত বনধকে সমর্থন করছে না গুজরাট সরকার। সে রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী বিজয় রূপানি জানিয়েছেন, ‘‘কৃষকদের ডাকা ভারত বনধ সমর্থন করছে না গুজরাট। কেউ জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন