আশঙ্কা ছিল গাঢ় ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার। তবে আগামী চার মাস সময় দিয়ে পাকিস্তানকে আগের মতো ধূসর তালিকাতেই রাখল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
এফএটিএফ-এর এক আধিকারিক পিটিআই-কে জানিয়েছে, "পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা সর্বজনসম্মত ভাবেই নিয়েছেন। আগামী চার মাসের মধ্যে পাকিস্তান সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে গাঢ় ধূসর তালিকাভুক্ত করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে"।
দিন কয়েক আগেই খবর ছড়িয়েছিল, ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। জঙ্গিদের আর্থিক মদতের অভিযোগে পাকিস্তানকে এবার ‘গাঢ় ধূসর’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করতে পারে এফএটিএফ। আগামী ১৮ অক্টোবর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ইমরানের মুখে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি, টুইটারে ধুয়ে দিলেন ভাজ্জি-শামি
এফএটিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ন্যূনতম ২৭টি নির্দেশিকার মধ্যে মধ্যে ২২টিও মেনে চলতে পারেনি ইসলামাবাদ। জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-র মতো জঙ্গি সংগঠন বা হাফিজ সইদের মতো রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষিত বিশ্ব-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও পাকিস্তান কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে রয়েছে সন্ত্রাসীদের মদত ও প্রশ্রয় দেওয়া এবং অর্থ জোগানোর অভিযোগ।
এফএটিএফ-এর নিয়ম অনুযায়ী ধূসর ও কালো তালিকার মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ ‘গাঢ় ধূসর’ তালিকা। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি মানে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে শেষবার কোনও দেশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতের উপর নজরদারি চালায় এফএটিএফ। শেষ পর্যন্ত ‘গাঢ় ধূসর’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হলে, জঙ্গিদের আর্থিক মদত বন্ধ করার শেষ সুযোগ পাবে পাকিস্তান। এর আগে, গত বছর জুনে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।