/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/09/cats-55.jpg)
কেন্দ্র মুদ্রাস্ফীতি আরও কমিয়ে আনবে। লোকসভায় এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দিন দুয়েক আগেই সরকারি তথ্যে দাবি করা হয়েছে, খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি গত ১১ মাসে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। আগে ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। নভেম্বরে সেটাই নেমে এসেছে ৫.৮ শতাংশে। এরপরই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় মুদ্রাস্ফীতির ব্যাপারে বলতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে।
রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির সর্বোচ্চ সীমা ধার্য করেছে ৬ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি তার চেয়েও কমায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন কেন্দ্রও। বুধবার সেই স্বস্তির সঙ্গে আত্মবিশ্বাস মিলিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে লোকসভায় বলতে শোনা গেল, 'আমি জনস্বার্থে মুদ্রাস্ফীতি আরও কমিয়ে আনব।' তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানান, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে দেশের কোনও ভয় নেই। কারণ, ভারত দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। আর, এর মুদ্রাস্ফীতির হারও বেশ কম।
রাজস্ব ঘাটতি নিয়েও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে বুধবার মুখ খুলতে শোনা যায়। তিনি আশাপ্রকাশ করেন যে, সরকার চলতি অর্থবছরেই জিডিপির ৬.৪ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে। সীতারামনের দাবি যে অনুৎপাদক সম্পদ বা দেশের নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (এনপিএ), নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ২০২২ সালের মার্চের শেষে ৭.২৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন- ফের বিষমদ! মৃত অন্তত ২০, বিরোধীরা ‘মাতাল হয়ে গিয়েছেন’, অভিযোগ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতের টাকার ক্রমহ্রাসমান মূল্যের বিষয়ে তাঁকে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে। সীতারামন জানান যে ভারতীয় মুদ্রার মান মার্কিন ডলার বাদে অন্যান্য সমস্ত মুদ্রার ক্ষেত্রেই প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন ডলারের তুলনায় অন্যান্য দেশের মুদ্রার যে হারে পতন ঘটেছে, তার তুলনায় ভারতীয় টাকার পতনের হার কম বলেই তিনি জানান।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মুদ্রাস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও বিরোধীরা অবশ্য তাতে আমল দিতে নারাজ। অন্যতম বিরোধী দল সিপিএম আগেই অভিযোগ করেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। এখন যে বিপুল পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছিল, তার তুলনায় সামান্য কমিয়েই কেন্দ্র কৃতিত্ব নিতে চাইছে বলে কটাক্ষ সিপিএম-সহ অন্যান্য বামদলগুলোর নেতাদের। একই সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেসের গলাতেও।
Read full story in English