মুম্বইয়ের কামাথিপুরায় MNS কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত এক মহিলা, এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ভিডিও ভাইরাল হতেই তৎপর পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত তিন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর বিনোদ আলগিরে, রাজু আলগিরে এবং সতীশ লাড নামে তিন ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে । একই সঙ্গে বিষয়টিতে রাজনীতির রঙ লাগতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় কাদা ছোঁড়াছুড়ি দুই দলের। শিবসেনা ও এমএনএস দুই দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর পালা। শুক্রবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করা নাগপাদা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় শিবসেনার মহিলা শাখা। এর পাশাপাশি, মহিলা শাখা পুলিশের কাছে দাবি করেছে যে রাজ ঠাকরের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এই কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে MNS রীতিমত ব্যাকফুটে। ঘটনার বিষয়ে এখনও দলের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রাজ ঠাকরেকে লাগাতার আক্রমণ করছে বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: < করোনার প্রভাব কাটিয়ে চাঙ্গা ভারতীয় অর্থনীতি, ব্রিটেনকে টপকে পঞ্চমে দেশ! >
ঠিক কী ঘটেছিল?
মুম্বাইয়ের কামাথিপুরা এলাকায় একটি বোর্ড লাগাচ্ছিলেন এমএনএস কর্মীরা। এই বোর্ডটি এক বয়স্ক মহিলার দোকানের সামনে লাগানো হচ্ছিল, তার বিরোধিতা করেন ওই মহিলা। অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় এমএনএস কর্মীরা মহিলাকে মারধর ও ধাক্কা দেয়। এই মামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যার পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়েই।
কী বলছেন মহিলা?
মহিলার দাবি প্রতিবাদ জানালে পার্টি কর্মীরা তাকে গালিগালাজ করে। সেই সঙ্গে চুলের মুঠি ধরে চলে মারধরও। ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় ওই বৃদ্ধা মহিলাকে। মহিলা জানিয়েছেন "যেহেতু আমি উপোস ছিলাম এবং আমি জানতাম পুলিশ আমাকে ঘোরাবে তাই ঘটনার পর দুদিন থানায় যায়নি”। প্রকাশদেবী বোহরার মেয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ঘটনার পর থেকে মা ঘর থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন। অভিযুক্তরা রাজনৈতিক কর্মী , সর্বত্র তাদের লোক রয়েছে। তাই, আমি উদ্বিগ্ন… দলের কর্মীরা যেন তার বা আমার পরিবারের কারও ক্ষতি না করে।”
ঘটনা নিয়ে কী বলছেন শিবসেনা বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে
ঘটনা প্রসঙ্গে শিবসেনা বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে বলেন, “ঘটনাটি নিন্দনীয়”। তিনি আরও বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমি ভিডিওটি দেখেছি এবং এটি সত্যিই নিন্দনীয়!