Advertisment

উত্তপ্ত অসম-মেঘালয় সীমান্ত, গুলিতে হত কমপক্ষে ৬, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chief Minister Conrad Sangma

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।

ব্যাপক গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অসম-মেঘালয় সীমান্ত। কয়েকদিন পরেই অসম-মেঘালয় সীমান্ত বৈঠক। তার আগেই মঙ্গলবার সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গুলির লড়াইয়ে অন্ততপক্ষে চার জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে অসম পুলিশ জানিয়েছে। তবে, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যাটা কমপক্ষে ছয়। নিহতদের মধ্যে একজন আবার বনরক্ষী। ঘটনায় আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম-মেঘালয় সীমান্তের খুব কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকায় উত্তেজনা থামাতে এই ঘটনার পরই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

অসম পুলিশ জানিয়েছে, একটি কাঠবোঝাই লরিকে আটকানোর জেরেই ঘটনার সূত্রপাত। মঙ্গলবার সকালে ওই কাঠবোঝাই লরিটিকে আটকানো হয়। লরিটিতে চাপিয়ে বিপুল পরিমাণ বেআইনি কাঠ পাচার হচ্ছিল। তখনই তা আটকানো হয়। যে জায়গায় ওই গাড়ি আটকানো হয়, তার একপাশে অসমের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলা। আর, অন্যদিকে মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মুকরোহ গ্রাম। অসম পুলিশ জানিয়েছে, লরিটিকে থামতে বলার পরও তা দ্রুতগতিতে চলে যাচ্ছিল। তখনই গাড়ির চাকায় গুলি করে লরিটি থামানো হয়। ওই গাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। আরও কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, এরপর একদল পুলিশকর্মীকে ট্রাকটি আনার জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। সেই সময় একদল সশস্ত্র লোক তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে পুলিশকর্মীরা নিজেদের বাঁচাতে গুলি চালায়। সেই গুলিতেই এক বনকর্মী-সহ চার জন প্রাণ হারান। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন কার্বি আংলং জেলার পুলিশ সুপার ইমদাদ আলি।

আরও পড়ুন- ইতিহাসের পুনরাবৃ্ত্তি! বাবাসাহেব আম্বেদকরের নাতির সঙ্গে জোট বালাসাহেবের ছেলের?

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে মুকরোহ গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অসম পুলিশ ও বনকর্মীদের দলকে ঘিরে ফেলেছিল। কারণ, অসম পুলিশ ও বনকর্মীরা ওই ট্রাকটিকে ধরতে মেঘালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। এই ব্যাপারে কনরাড সাংমা বলেন, 'প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, কাঠবোঝাই একটি ট্রাককে ধাওয়া করে অসম পুলিশ ও বনরক্ষীরা মেঘালয়ের মুকরোহ গ্রামে ঢুকে পড়েন। সেই খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ঘিরে ফেলেন। তার প্রেক্ষিতে অসম পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে অসমের এক বনরক্ষী-সহ আরও পাঁচ জন প্রাণ হারিয়েছেন।'

Read full story in English

Death Meghalaya firing Assam
Advertisment