২০২২ সালে সুরাট থেকে বিলিমোরা অবধি ঝড়ের গতিতে ছুটে যাবে বুলেট ট্রেন। ২০২৩ সালের মধ্যে বুলেট ছুটে যাওয়ার জন্য বানিয়ে ফেলা হবে ৫০৮ কিলোমিটারের যাত্রা পথ। ট্রেনটি ১৫ মিনিটে অতিক্রম করবে ৪৮ কিমি। সিংহাসনে বসার দিন কয়েকের মধ্যেই এই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইতিমধ্যে উদ্বোধনের দামামা বাজিয়েছে NDA সরকার। দিনটি হবে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন সূত্রে খবর, যে লাইন বানানো হবে তা সোজা এবং সমান হবে। তারপর আস্তে আস্তে বাড়ানো হবে লাইন।
ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড সূত্রে খবর, ১.০৮ লাখ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ৮০ শতাংশ ঋণ নেওয়া হয়েছে জাপান থেকে
কিন্তু জাপানের মত প্রযুক্তি কি থাকবে ভারতের বুলেট ট্রেনে? আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জাপানিদের আনা হবে ভারতীয় রেল চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য।
১৪০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এই প্রকল্পের জন্যে। মহারাষ্ট্রে ৩৫৩ হেক্টর, বাকি গুজরাটে। এই গোটা জমিটা বিভক্ত হবে ৭,০০০টি প্লটে, যার মধ্যে পড়বে গুজরাটের ১৯৫ টি গ্রাম এবং মহারাষ্ট্রের ১০৪ টি গ্রাম।
তৈরি করা হচ্ছে হাই স্পিড ট্রেনিং শিক্ষা সংস্থা। ইতিমধ্যে বুলেট ট্রেনের কাজ শুরু হয়ে গেছে বদোদরায়। প্রকল্পের জন্য আপাতত প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bullet train start in India, 2022: বাইশের বুলেট; বাধা ও অগ্রগতি
ইতিমধ্যে প্রায় ১,৫০০ ভারতীয় কর্মচারীকে জাপান থেকে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৬০ জন দীর্ঘমেয়াদি চাকরির প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ পেয়ে আরেকটি দল অক্টোবরে পাশ করবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩৩৪টি বিছানা এবং ১৬৬টি কক্ষের সুবিধা সহ বুলেট ট্রেনের ৫০ মিটারের ট্র্যাক আছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দোতলা পাঁচটি হোস্টেল বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১০০ জন মজুর এবং উচ্চপদস্থ কর্মচারীর পরিকল্পনা করার জন্য লাগাতার মিটিং চলছে। NHSRCL প্রকল্প প্রধান প্রদীপ অহিরকার বলেন, "আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে লাগাতার কাজ"।