রাতভর ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরু। মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যত জলের তলায় তথ্যপ্রযুক্তি নগরী। শহরের মধ্যে জল জমার কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। আবাসনের বেসমেন্ট, একতলাতেও জল। বাসিন্দাদের উদ্ধার নামল নৌকা। রাস্তায় ব্যাপক যানজটের কারণে কর্মীরা সময়ে অফিসে পৌঁছতে পারেননি। যার ফলে বিরাট ক্ষতির মুখে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাগুলি। ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন বেলা গড়ালেও বেঙ্গালুরুর একাধিক অঞ্চল এখনও জলমগ্ন। রাস্তায় জল জমার কারণে অনেক যাত্রীই বিমানবন্দরে সময়ে পৌঁছতে না পেরে উড়ান ধরতে পারেননি। কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনেক বিমান দেরিতে চলছে। সোমবার দিনে এবং রাতভর বৃষ্টির জেরে বেঙ্গালুরুর আট বছরের রেকর্ড অল্পের জন্য ভাঙেনি। প্রায় ১৩১.৬ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ২০১৪ সালে এই সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ তারিখ ১৩২.৩ মিমি রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছিল।
তবে আতঙ্কের শেষ নেই এখানে। আবহাওয়া দফতর হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। আজ, মঙ্গলবার আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জনজীবন ফের বিপর্যস্ত হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিচার করে সরকার ৬০০ কোটি টাকা বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার জন্য খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহু রাস্তা, সেতু, বৈদ্যুতিক স্তম্ভ, স্কুলবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন এবার দিল্লির ঐতিহাসিক রাজপথের নাম পাল্টে দিচ্ছে মোদী সরকার, কী নাম রাখা হচ্ছে?
তবে বৃষ্টি, জমা জলের কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। রাস্তায় জমা জলের কারণে সময়ে অফিসে পৌঁছতে পারেননি বহু কর্মী। বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে সংস্থাগুলি। জলমগ্ন রাস্তাঘাট নিয়ে নেটিজেনরাও ভীষণ ক্ষুব্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা জলের ছবি-ভিডিও দিয়ে। বেঙ্গালুরুর মতো ব্যস্ত শহর জলের তলায় চলে যাওয়ায় প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন বাসিন্দারা।