গত আট মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান এই দ্বন্ধে ত্রাতা হয়ে উঠবে ভারত! এই প্রত্যাশার মধ্যেই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোমবার (৭ নভেম্বর) দুদিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন। যেখানে তিনি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভের সঙ্গে এক বৈঠক করবেন।
সারা বিশ্বের নজর জয়শঙ্করের মস্কো সফরের দিকে। বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে মতামত বিনিময় হবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।
৪,নভেম্বর একতা দিবস উপলক্ষে পুতিন ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর ভাষণে পুতিন বলেন, "ভারত তার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দারুণ ফলাফল অর্জন করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষের কাছে এখন এই সম্ভাবনা রয়েছে।"
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়, ভারত বিশ্বজুড়ে পরমাণু হামলার হুমকি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এ ছাড়া খাদ্য চুক্তিতে ভারতের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। গোটা বিশ্বে যখন খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করে, তখন ভারত রাশিয়াকে এই চুক্তিতে যোগ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: < আপের সঙ্গে জোট জল্পনা উড়িয়ে, একাই গুজরাট নির্বাচনে লড়াইয়ের ডাক জাতীয় কংগ্রেসের >
এই কারণেই এই সময়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মস্কো সফরকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে গোটা বিশ্ব। গোটা বিশ্বের আশা করছে ভারত শীঘ্রই রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান সংকট নিয়ে বিশ্ববাসীকে সুখবর শোনাতে পারে।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে পশ্চিমী দেশগুলো তেল আমদানি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়াও, ইউক্রেনে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে এবং অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। বিশ্ববাসীর নজর এখন বিদেশমন্ত্রী কে এস জয়শঙ্করের মস্কো সফরের দিকে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ আটকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ আগে মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও দেখা করেন ম্যাক্রোঁ। এদিকে, ম্যাক্রোঁ পশ্চিমী দেশগুলির কাছে প্রস্তাব করেছিলেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শান্তি আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা উচিত, কিন্তু সে সময় তার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।