রেলের ফুট ওভারব্রিজ ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল রবিবার। বিকেল ৫টা ১০ নাগাদ আচমকা ভেঙে পড়ল বল্লারশাহ রেল স্টেশনের ওই সেতু। দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের রেলের হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের চন্দরপুর জেলায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুণেগামী ট্রেন ধরতে অধিকাংশ যাত্রী এই ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন।
রবিবার ছুটির দিন হলেও ব্যস্ত এই স্টেশনে যথেষ্ট ভিড় ছিল। ফুট ওভারব্রিজ দিয়েই যাত্রীরা যাতায়াত করছিলেন। আচমকা সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে পড়ে। যার জেরে বেশ কয়েকজন যাত্রী ওই ফুট ওভারব্রিজের ফাঁক দিয়ে ২০ ফুট নীচে রেললাইনে পড়ে যান। যাত্রীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাবে না-বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। রেল সূত্রে খবর, আহত যাত্রীদের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, রেলের তরফে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুতর আহত যাত্রীদের এককালীন একলক্ষ টাকা। আর, অল্প আহতদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কীভাবে সেতুটির ওই অংশ ভেঙে পড়ল, তা জানতে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনার তদন্ত করে অতিশীঘ্র রিপোর্ট জমা দেবেন বলে, রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- দৃষ্টান্ত! বিধানসভায় প্রার্থীরা কেউ পোশাকের কারিগর, পরিচারক, অটোচালক বা ডেলিভারি কর্মী
রেল সূত্রে খবর, যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই আশপাশের অঞ্চলেরই বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে সকলেরই হাত এবং পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের মাথাতেও গুরুতর চোট লেগেছে। ঘটনায় রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, সেতুটির ওই অংশটি যে জীর্ণ হয়ে গিয়েছে, তা আগে থেকে খতিয়ে দেখেননি বল্লারশাহ স্টেশনের রেলকর্মীরা। এই ব্যাপারে তাঁরা রেলের নির্দিষ্ট বিভাগকেও কিছু জানাননি। সঙ্গে, ফুটব্রিজটি যে ব্যবহার করা যাবে না, সেই সতর্কীকরণ জারি করেননি রেলকর্মীরা। ফুটব্রিজ দিয়ে যাত্রী চলাচলও তাঁরা বন্ধ করেননি। তার ফলেই রবিবার এতবড় দুর্ঘটনা ঘটতে পেরেছে।
Read full story in English