এই প্রথমবার বেঙ্গালুরুর ইদগাহ ময়দানে উত্তোলিত হল জাতীয় পতাকা। চামরাজপেটের ইদগাহ ময়দানের মালিকানা নিয়ে ওয়াকফ বোর্ড এবং নাগরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। সেখানে এই প্রথমবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সোমবার সকালে রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) ৩ আগস্ট মাঠটিকে রাজ্যের রাজস্ব বিভাগের সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, এখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত রাজস্ব বিভাগ নেবে।
সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ ইদগাহ ময়দানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বেঙ্গালুরু শহরের সহকারি কমিশনার ড. এমজি শিবন্না, চামরাজপেটের বিধায়ক জমির আহমেদ খান, বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের সদস্য পিসি মোহন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বেঙ্গালুরু পশ্চিম) সন্দীপ পাতিল ও ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (বেঙ্গালুরু পশ্চিম) লক্ষ্মণ নিম্বার্গী। অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সংগীত ও রাষ্ট্রীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
চামরাজপেট সরকারি স্কুলের ছাত্ররা দেশাত্মবোধক গান গাওয়া, চিত্রদুর্গায় হায়দার আলির সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করা বীরযোদ্ধা ওনাকে ওবভাকে নিয়ে একটি ছোট নাটক প্রদর্শন এবং বন্দে মাতরম নাচ-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আগে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, সিটি আর্মড রিজার্ভ ফোর্স এবং কর্ণাটক স্টেট রিজার্ভ পুলিশ থেকে একটি বিশেষ পুলিশ বাহিনীর ১,০০০ সদস্যকে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- হামলার দায় অস্বীকার, তবে বিপদ রুশদিই ঘনিয়ে এনেছিলেন, অভিযোগ ইরানের
এর আগে, রাজস্ব বিভাগ নির্দেশ দিয়েছিল যে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে ইদগাহ ময়দানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। পরে অবশ্য রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা নিজেরা ওই ময়দানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেন। তবে, নিরাপত্তার ঝুঁকি তাঁরাও নিতে চাননি। তাই ১,০০০ সশস্ত্র পুলিশকর্মীকে মোতায়েন রাখা হয়েছিল।
Read full story in English