/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/mumbai-police.jpg)
প্রতীকী ছবি
সরকারি কর্মচারী হিসেবে সরকারি আবাসনে থাকার সুযোগ অনেককেই দেওয়া হয়ে থাকে। আবার নিয়ম মেনে বদলি হয়ে যাওয়ার পর সেই আবাসন ছেড়েও দিতে হয়। কিন্তু ৩৫ জন চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসাররা এই নিয়ম না মানায় মোট ৪ কোটি টাকার জরিমানা করা হল।
এদের মধ্যে রয়েছেন মুম্বাই পুলিশের দু'জন প্রাক্তন কমিশনার। একজন অফিসার দুইবারের বিজেপি সাংসদও। রয়েছেন চারজন পুলিশ কমিশনার রয়েছেন এবং দুজন অতিরিক্ত ডিজি এবং প্রাক্তন ডিজিপি। নিয়ম অনুযায়ী আইপিএস অফিসারদের যে কোনও পদ থেকে বদলি করা হলে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তরসূরির জন্য সরকারি আবাসন খালি করতে হয়। নচেৎ দিতে হয় জরিমানা।
আরও পড়ুন, সকালে দাবদাহ, সন্ধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে
অফিসারদের বেশিরভাগই মুম্বাইয়ে তাঁদের আবাসনে থেকে গিয়েছিলেন বদলি ও চাকরি পরবর্তী জীবনে। আরটিআই করা হলে দেখা যায়, রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার বাভিস্করের নামে ৭৫ লক্ষ টাকার জরিমান করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আরও সাতজনের নামে রয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার ফাইন। যদিও ডিআইজি সঞ্জয় কুমার এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।
অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) ডা মহেশ পাতিলও রয়েছেন। ২০১৬ সালেই তাঁর বদলি হয়েছে। যদিও মুম্বাইয়ের ভাসাইয়ে এক হাজার বর্গফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে রয়েছেন তিনি। মহেশ পাতিল জানান যে তাঁর ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। সেই কারণে ফ্ল্যাটটি ছাড়তে পারছেন না। পুলিশ কর্তা বলেন, "মুম্বই থেকে আমাকে এমন দফতরে বদলি করা হয়েছিল যারা সরকারি আবাসন দেয় না।"
আরও পড়ুন, ইয়াস-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল, বৈঠক নবান্নে
যদিও তাঁর নামে ৩৩ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য হয়েছে। এছাড়াও দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার সুরিন্দর কুমার এবং ধনঞ্জয় কমলাকারের নামে ২০ লক্ষ টাকারও বেশি জরিমানা আরোপ করা হয়েছে একই অভিযোগে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন