চিনা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ঝেনহুয়া ভারতে কেবল নেতা-মন্ত্রী-সংবাদমাধ্যমই নয়, প্রাক্তন আইএফএস অফিসার-সহ একাধিক কূটনীতিকদের তথ্যের উপরও নজর রাখছে। 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে'র তদন্তমূলক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিনা ওই প্রযুক্তি সংস্থা ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত ভারতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের গতিবিধির উপর নজর রেখে চলেছে। তৈরি করা হয়েছে বিশাল তথ্যভাণ্ডার।
এও জানা গিয়েছে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা থেকে ইজরায়েলে ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জীব সিঙ্গলা, যিনি এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একান্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, চিনের এই সংস্থার নজরে রয়েছেন এঁরাও। তবে 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে'র প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ঝেনহুয়া ডেটা মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, যে এটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। এর অংশীদারদের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষা দপ্তর ও সরকারের কোনও যোগাযোগ নেই। এর কার্যক্রম অবৈধ বা অযৌক্তিক নয়"।
আরও পড়ুন, ভারতের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তথ্য পৌঁছল চিনের কাছে? ‘নয়া যুদ্ধের’ ইঙ্গিত
নয়াদিল্লিতে চিনা দূতাবাসে সরকারি সূত্রের মাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় ঝেনহুয়ার প্রতিনিধি বলেন, “এই ওভারসিস কি ইনফরমেশন ডেটাবেস (ওকিআইডিবি) অস্তিত্ব রয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমে যেমন প্রকাশিত হয়েছে তেমনটি এটি নয়। এটি ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেবল সংযুক্ত করে। অপারেশনগুলি সম্পর্কে অবৈধ বা অযৌক্তিক কিছুই নেই। যা সর্বসাধারণ জানতে পারে সেই তথ্যই আমরা সংগ্রহ করি। গোপনীয় কোনও চ্যাট, হিস্ট্রি, প্রোফাইল, কমেন্ট থেকে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয় না।"
আরও পড়ুন, চিনা রেডারে ১০ হাজার ভারতীয়! ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তের পর কমিটি গঠন কেন্দ্রের
অপারেশনগুলি অবৈধ নয় এমন কথা ঝেনহুয়া জানালেও, ফেসবুক তার প্ল্যাটফর্ম থেকে ঝেনহুয়া ডেটা টেকনোলজিকে নিষিদ্ধ করেছে। 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে'র প্রশ্নের জবাবে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, “জনসাধারণের ডেটা স্ক্র্যাপিং হিসাবে দেখা যাচ্ছে যেহেতু এই সংস্থাটি ফেসবুক-সহ বেশ কয়েকটি পরিষেবাকে ব্যবহার করেছে, যা আমাদের নীতিগুলির পরিপন্থী। এমনকি পাবলিক ডেটাও এইভাবে সংগ্রহ করা উচিত নয়। আমরা নিষেধাজ্ঞার নোটিস পাঠিয়েছি।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন