পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদন্ডের মামলায় বিশেষ আদালত গঠনের প্রক্রিয়াকে 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিল লাহৌর হাইকোর্ট, সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর। ১৭ ডিসেম্বর চুয়াত্তর বছর বয়সি মুশারফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত। প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ সরকার এই মামলা দায়ের করেছিল।
আরও পড়ুন: দিলীপের নিন্দায় বাবুল, পাল্টা জবাব বিজেপি রাজ্য সভাপতির
সোমবার লাহৌর হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাজাহার আলী আকবর নকভী, মহম্মদ আমির ভাট্টি এবং চৌধুরী মাসুদ জাহাঙ্গীরের তিন সদস্যের বেঞ্চে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বিশেষ আদালত গঠনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এদিনের এই রায় জানাল লাহৌর হাইকোর্ট, জানাল পাক সংবাদমাধ্যম ডন।মুশারফ তাঁর আবেদনে বিশেষ আদালতের রায়কে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করেন। আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সেই রায় স্থগিত রাখার আবেদনও জানিয়েছিলেন। এদিন লাহৌর হাইকোর্ট এও জানায় যে মুশারফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি আইন মেনে করা হয়নি, জানিয়েছে জিও টিভি।
আরও পড়ুন: ‘জিন্নার স্বপ্নপূরণে এগোচ্ছেন মোদী!’
এর আগে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি-জেনারেল ইশতিয়াক আহমদ খান আদালতকে জানান যে বিশেষ আদালত সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে মুশারফকে এই আওতায় আনতে চেয়েছে। ক্যাবিনেটের অনুমতি ছাড়াই এই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে।" ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুশারফ।
Read the full story in English