ইসলামাবাদ অভিমুখে গুজরানওয়ালার মিছিলে গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরান খানকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তৈরি হয়েছিল বিশেষ ক্যাম্প। গুজরানওয়ালার আল্লাহওয়ালা চকে ওই বিশেষ ক্যাম্পেই গুলি চলেছে। গুলি ইমরানকে লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কে বা কারা ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে? তা স্পষ্ট না হলেও সিসিটিভই ক্যামেরায় মটরসাইকেলে একজনকে বন্দুক হাতে দেখা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি নাভিদ বলে জানা গিয়েছে। গুলির আওয়াজ শোনার পরই নাভিদকে ধরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। মারধরের পাশাপাশি তাঁকে পাল্টা গুলি করে হত্যা করা হয়।
অভিযুক্ত এবং নিহত নাভিদের এই আচরণের নেপথ্যে আসলে কে বা কারা জড়়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জিও টিভি-র খবর অনুসারে, ইমরানের দলেরএক প্রবীণ নেতা ফয়জল জাভেদ খান জানিয়েছেন, তিনিও গুলিতে আহত হয়েছেন। ফয়জলের পোশাকে রক্তের দাগও দেখা গিয়েছে। ফয়জলের দাবি, ঘটনায় তাঁর দল পিটিআইয়ের এক কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পদযাত্রা বা লং মার্চে উপস্থিত সমর্থকদের নিয়ে তাঁবু ফেলে আস্ত অস্থায়ী গ্রাম বানানোর পরিকল্পনা করেছিল ইমরানের দলের নেতারা। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই এতবড় হামলার ঘটনা সামনে আসায় পরিস্থিতি এখন জটিল হয়ে উঠেছে। আই-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে, এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যূত হলেও পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতিতে ইমরান ও তেহরেক ই ইনসাফের জনপ্রিয়তা ফের ঊর্ধ্বমুখী।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গুজরানওয়ালার আল্লাহওয়ালা চক-এ গুলি চালানোর নিন্দা করেছেন এবং ঘটনার অবিলম্বে একটি রিপোর্ট তলব করেছেন। শরিফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে পাঞ্জাবের পুলিশের আইজি এবং পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের কাছ থেকে অবিলম্বে রিপোর্ট চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।