জঙ্গিদমন অভিযানে জম্মু-কাশ্মীরে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। দুটি আলাদা সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার জঙ্গি মারা গিয়েছে। তার মধ্যে আবার দুই জঙ্গি পাকিস্তানের বাসিন্দা বলেই মৃত্যুর পর নিশ্চিত হয়েছে বাহিনী। এর মধ্যে কুলগামে একটি সংঘর্ষ হয়েছে। অন্য সংঘর্ষটি হয়েছে কুপওয়াড়ায়। যার মধ্যে কুপওয়াড়ায় দুই পাকিস্তানি জঙ্গির মুখোমুখি হয় বাহিনী।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, দুই জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে গোপন সূত্রে খবর এসেছিল যে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। তাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র আছে বলেও জানতে পেরেছিল বাহিনী। সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েই জঙ্গিদের সন্ধানে রওনা দেন জওয়ানরা। বাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পারার পর দুই জায়গাতেই গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। শেষ পর্যন্ত গুলিযুদ্ধে জঙ্গিদের মৃত্যু হয়।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, মৃত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম হ্যারিস শরিফ। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার স্তরের ওই জঙ্গির বাড়ি শ্রীনগরে। আর, কুলগামে মৃত জঙ্গি জাকির পাদ্দের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগেই ধরা পড়েছিল শওকত আহমেদ শেখ নামে এক জঙ্গি। তার কাছ থেকেই বাকি জঙ্গিদের খবর পায় পুলিশ।
মৃত বাকি জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে এ কী বললেন রামদেব! শুনে হতবাক সকলেই
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের মধ্যে হ্যারিশ হরিশ মাসখানেক আগেই জঙ্গিদলে নাম লিখিয়েছিল। সেই খবর পুলিশের কাছে ছিল। এখনও উপত্যকায় বেশ কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে আবার কয়েকজন পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। সম্প্রতি জঙ্গিদের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার এক বড় চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে বাহিনী।
ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে ওই অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলেই সীমান্তরক্ষীরা দেখতে পায়। এরপরই গুলি করে নামানো হয় ওই ড্রোনটিকে। যা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। এর মধ্যে বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
Read full story in English