Advertisment

স্কুলে যেতে দেয়নি পরিবার, রাগে সবাইকে বিষ খাইয়ে খুন করল কিশোরী

ছোট বোনকে বেশি আদর মা-বাবার, সহ্য করতে পারেনি কিশোরী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
কোভিডে মৃত্যুর এক বছর পরে মর্গে উদ্ধার জোড়া দেহ! চোখ কপালে প্রশাসনের

প্রতীকী চিত্র।

কর্ণাটকে একই পরিবারের চারজনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। রহস্য প্রায় কিনারা করে ফেলেছে পুলিশ। শুধু সন্দেহভাজন স্বীকার করলেই হয়। শুধুমাত্র প্রতিশোধ নিতে পরিবারের সবাইকে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ায় অভিযুক্ত ১৭ বছরের কিশোরী। কেন প্রতিশোধ তা জানলে আরও অবাক হতে হয়।

Advertisment

মাস তিনেক আগে কর্ণাটকের ব্রহ্মসাগরে এই চারজনের রহস্যমৃত্যু হয়। পুলিশ ওই পরিবারেরই এক সদস্য কিশোরীকে গ্রেফতার করেছে। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল কিশোরীর বাবা, মা, ঠাকুমা এবং ছোট বোনের। বড় দাদা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। যদিও তাঁর পেটে বিষ গিয়েছিল।

মৃতদের ময়নাতদন্তে পাওয়া যায়, তাঁদের রাগি বল খাওয়ানো হয়েছিল। সেই খাবারে মেশানো হয় কীটনাশক। প্রথমে কারও উপর সন্দেহ যায়নি পুলিশের। চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত পরিবারের কেই-বা শত্রু থাকতে পারে! এদিকে, যুবক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। গত ১৬ অক্টোবর বোনের সঙ্গে তাঁর কোনও বিষয়ে ঝগড়া হয়। তখনই ওই কিশোরী বোমা ফাটায়। স্বীকার, মা-বাবা, ঠাকুমা ও বোনকে সে খুন করেছে।

রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান যুবক। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেন। পুলিশকে বয়ানে তিনি জানান, "বোন বলেছে, সবাই জোর করে আমার স্কুল ছাড়িয়ে দিয়ে মাঠে কাজ করতে পাঠায়। কিন্তু ছোট বোনকে স্কুলে পাঠানো হয়। আমাকে বিনা কারণে বকাঝকা করা হত। মারধর করা হত। তাই প্রতিশোধ নিতে আমি সবাইকে খুন করার ছক কষি, যাতে আমাকে আর মার না খেতে হয়। খাবারে আমিই বিষ মেশাই।"

Advertisment

আরও পড়ুন লখিমপুর কাণ্ডে বিজেপি নেতা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

তদন্তে উঠে আসে, ঘটনার দিন রাগি পাউডারের মধ্যে কীটনাশক মেশায় ওই কিশোরী। পরিবারের বাকিরা রাত সাড়ে আটটার মধ্যে খাবার খেয়ে নেয়। কিন্তু কিশোরী শোয়ার আগে ভাত-সাম্ভার খেয়ে নেয়। রাত ১১.৩০ নাগাদ পরিবারের সদস্যদের অসহ্য পেটে যন্ত্রণা, বমি, পেট খারাপ করতে শুরু করে। পরে হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

karnataka Murder
Advertisment