Advertisment

ফ্রি ডেটার দিন শেষ, তথ্যের অভাবে সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনিও

এই ব্যাপারে কড়া আইন আসতে চলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Big Tech

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই নানা বিষয়ে একটি বিভক্ত রাষ্ট্র। এখানকার ৫২টি রাজ্য খুব কম সময়ই বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছে। অথবা, এর প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল খুব সামান্য ব্যাপারেই একমত হয়েছে। যাইহোক, এমন একটি আইন তৈরি হতে চলেছে, যে আইনের ব্যাপারে মার্কিন রাজনীতি তার পথ তৈরি করছে।

Advertisment

আর সেখানে ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান, সেনেট এবং কংগ্রেস একে অপরের সঙ্গে একমত বলেই আপাতত স্পষ্ট হয়েছে। এই আইন হল ADPPA। যা মার্কিনদের ডেটার গোপনীয়তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আর, মার্কিন নাগরিকদের ডেটার গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা চিত্রকে আমূল বদলে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

এই ভাবনা যদি আইনে পরিণত হয়, তবে তা হবে রীতিমতো যুগান্তকারী। কারণ, তা হবে রীতিমতো তথ্যের নিয়ন্ত্রণ। যার দৌলতে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তথ্য, বিভিন্ন স্থানগত অবস্থানের মত সংবেদশনশীল ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত হবে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে তথ্য বিনিময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়।

বিশ্বের সমস্ত দেশই ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ তথ্যের সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করেছে। তবে, সব দেশের আইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার মত শক্তিশালী নয়। চিন এবং ব্রাজিলের আইনকে এই ব্যাপারে মধ্যপন্থী বলা যায়। আর ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে তথ্যের এই সব সুরক্ষা বেশ সীমিত।

এর বড় কারণ হল, বেশ কয়েকটি দেশ তাদের তথ্য নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি মূল্যবান সম্পদ বা একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবেই বিবেচনা করছে। আর, তাই বিভিন্ন দেশের সরকার বর্তমানে চাইছে সম্পদ এবং অস্ত্রের মালিকানা নিয়ন্ত্রণ করতে। ইতিহাস বলে, সবচেয়ে বেশি সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এবং শোষণের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন- কংগ্রেস সভাপতির কথায় তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন বিজেপি নেতারা, ব্যাপক হই-হল্লা

প্রথম ব্যারন এবং প্রভুরা ছিলেন জমির মালিক। তাঁরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁরাই কৃষির মূল ফায়দা লুটে নিতেন। কাঠ ছিল তাঁদের সম্পদ। যার সাহায্যে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যারণরাই কার্যত মুক্ত জমিতে রেলপথগুলো তৈরি করেছিলেন। একইসঙ্গে খনির মালিকরা পৃথিবী থেকে খনিজ পদার্থ বের করে নিয়েছেন।

পাশাপাশি, ঔপনিবেশিক সম্পদ শোষণের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ সংগ্রহ হয়েছিল। তারপর তেল এল, যুদ্ধ হল, সীমানা পুনর্নির্মাণ হল। দীর্ঘদিন মহাদেশগুলো তেলের ভরসায় ছিল। এবার, ভবিষ্যতের বিশ্ব শক্তিগুলো ডেটার পিছনে দৌড়বে।

Read full story in English

USA India Cyber Security
Advertisment