Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর। নিরাপত্তা বাহিনী এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আহত কমপক্ষে ২৭। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে রাজ্যের সব রাস্তায় চলাচল অবাধ করার পরই নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
মণিপুরে অবাধ চলাচল নীতি বাস্তবায়নের প্রথম দিনেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ইম্ফল-ডিমাপুর হাইওয়েতে (এনএইচ-২) নিরাপত্তা বাহিনী এবং কুকি সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে একজন নিহত এবং ২৭ জন নিরাপত্তা কর্মী আহত হন।
শনিবার থেকে মণিপুরে অবাধ যান চলাচল নীতি কার্যকর হয়েছে। এই নীতির লক্ষ্য সংঘাতপূর্ণ এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কিন্তু ইম্ফল থেকে সেনাপতিগামী যানবাহনের কনভয় কুকি-অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই বিক্ষোভকারীরা তা থামিয়ে দেয় এবং রাস্তা অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী বলপ্রয়োগ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় ২৭ জন সেনা আহত হন এবং একজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার জেরে প্রশাসনকে ফের একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করতে হয়।
মণিপুরে দুই বছর ধরে লাগাতার বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত দু বছর ধরে মণিপুরে জাতিগত হিংসা এবং সংঘাত চলছে। ২০২৩ সালের মে মাসে কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবাধ চলাচল নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো সমভব হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ মেনে, কর্তৃপক্ষ রাজ্যের সমস্ত বন্ধ রাস্তা খুলে দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন। যার জেরে আবার উত্তেজনা বেড়েছে।