ভারতের সমস্ত মন্দিরের সম্পত্তি হিন্দু সমাজের অধিকার। তা সমাজকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত সরকারের। শুক্রবার দশেরার ভাষণে এমনই দাবি রাখলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। পাশাপাশি তিনি জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতির দাবিও তুললেন। কারণ জন্ম অনিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের জনসংখ্যাভিত্তিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। তার অনেক কারণও আছে বলে তিনি এদিন জানান।
প্রসঙ্গত, এদিন নাগপুরে আরএসএস-এর বার্ষিক বিজয়া দশমী (Dussehra 2021) অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভাগবত। তাঁর দাবি, দক্ষিণ ভারতে অধিকাংশ হিন্দু মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে। তিনি বলেছেন, "বহু মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ সরকার গঠিত ট্রাস্টের হাতে। দুই ক্ষেত্রেই ভাল এবং খারাপ ব্যবস্থাপনা দেখা যায়। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নয়ছয় চোখে পড়ে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যেও এসেছে। সব বিগ্রহেরই কিছু রীতি-আচার রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেই রীতিতে হস্তক্ষেপের খবর এসেছে।"
ভাগবতের দাবি, "ধর্মীয় রীতি-নীতির ক্ষেত্রে অনেক সময় শাস্ত্রজ্ঞ বা আধ্য়াত্মিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বদল করা হয়। তাতে অনেক ক্ষেত্রে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে। বছরের পর বছর ধরে হিন্দু ধর্মীয় স্থলগুলির সম্পত্তি নিয়ে অবিচার হয়ে এসেছে। ভক্ত নয়, নাস্তিক, সরকারি ভাষায় ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের এইসব ধর্মীয় ব্যাপার থেকে দূরে রাখতে হবে। সময়ের দাবি মেনে মন্দিরগুলির নিয়ন্ত্রণ এবং তাঁর সম্পত্তির অধিকার হিন্দু সমাজের ভক্তদের দিতে হবে। মন্দিরের ধনদৌলত শুধুমাত্র বিগ্রহের পুজো এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের হিতের কাজে ব্যবহার করা উচিত।"
আরও পড়ুন বাংলাদেশে দুর্গামণ্ডপে দুষ্কৃতী হামলা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর, নিন্দা তৃণমূলের
এদিন পাশাপাশি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন সরসংঘচালক। তিনি বলেছেন, "জনসংখ্যা ভিত্তিক ভারসাম্যহীনতা বাড়ছে। তার কারণ হল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। আগামী ৫০ বছরের জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি ব্যাপক কার্যকরী হবে।" এই মর্মে এদিন ভাগবত ২০১৫ সালে সংঘের অঙ্গীকারের কথা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেন। সেইসঙ্গে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে নাগরিকত্ব না পায় সেদিকে সরকারকে নজর দিতে বলেছেন ভাগগত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন