জি৭ বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনার প্রত্যাশা নিয়ে জার্মানিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই দিনের এই সফরে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, পরিবেশ, লিঙ্গ সমতা, এবং গণতন্ত্রের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রবিবারই ভোরের দিকে বৈঠকে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ পৌঁছন। মিউনিখে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন। জার্মানিতে বসবাসকারী ভারতীয়দের অনেকে সেদেশের মহিলাকে বিবাহ করেছেন। তাঁরাও ইতিমধ্যে হিন্দি শিখে গিয়েছেন। তা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এই সব অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মুখিয়ে ছিলেন। জি৭ বৈঠকের নেতৃত্বে রয়েছে জার্মানি। সেই জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজই ভারতকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই প্রসঙ্গে টুইটে জানিয়েছেন, 'জি৭ বৈঠকের পাশাপাশি আলাদা করে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।'
এবারের জি৭ বৈঠকে পড়তে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্বই উদ্বিগ্ন। রবিবারও ভোররাতে পূর্ব ইউক্রেনের পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন। সম্পূর্ণরূপে ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটেন।
আরও পড়ুন- প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্রোতে ভেসে যাওয়া শাবককে উদ্ধার করল মা হাতি, দেখুন ভিডিও
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে আশ্বস্ত করতে জি৭ বৈঠকে উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর তাঁরা আরও নিষেধাজ্ঞা বলবত করতে চান। রাশিয়া থেকে সোনা আমদানি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য। বৈঠকে সেই সোনা আমদানি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তবে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি ভারত। রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সেই সব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভোটাভুটি কিন্তু, বারবারই এড়িয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি। এই ব্যাপারে নয়াদিল্লির পরিষ্কার বক্তব্য, ভারত শান্তি চায়। ভারত চায় না ইউক্রেন আক্রান্ত হোক বা যুদ্ধ হোক। কিন্তু, তাই বলে দীর্ঘদিনের বন্ধুদেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধেও যেতে চায় না ভারত। সেই কারণেই নয়াদিল্লি ভোটাভুটি এড়িয়ে যাচ্ছে বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
Read full story in English