দিন দুয়েক আগেই মহারাষ্ট্রের গড়চিরলিতে নকশাল হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর ১৫ জন কর্মী। সহকরমীদের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া দেহের অংশগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আশে পাশে, গাছের ডালে। দুঃস্বপ্নের রেশ কাটাতে পারেন নি সেই নিহত পুলিশদের এক সহকর্মী।
"চারপাশে দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে রয়েছে। গাছের ডালেও ঝুলছে দেহাবশেষ", আতঙ্কের রেশ লেগে থাকা গলায় জানালেন সেই পুলিশ সহকর্মী।
বিস্ফোরণে যাদের মৃত্যু হল, তাঁরা সবাই কুইক রেস্পন্স টিমের সদস্য। ম্রিত্যু হয় গাড়ির চালকেরও। ঘটনার পর ঘটনাস্থল সিল করে রাখা হয়েছে আপাতত। যান চলাচলের জন্য বিকল্প পথ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, শ্রীলঙ্কার বোমা হামলার খবর সংগ্রহে গিয়ে ধৃত ভারতীয় সাংবাদিক
মহারাষ্ট্রের ডিজিপি সুবোধ কুমার জয়সওয়াল জানিয়েছেন দুষ্কৃতীরা রাস্তার ওপর আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। "বিস্ফোরণের ধরন দেখে অনুমান করা যাচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। ফরেনসিক গবেষণাগারে নমুনা পাঠানো হয়েছে। ফলাফল এলেই বিস্ফোরকের পরিমাণ সম্পর্কে বোঝা যাবে", জানালেন ডিজিপি।
ঘটনাস্থল সংলগ্ন গ্রাম কুরখেদার এক গ্রামবাসী জানালেন, "মাটি খুঁড়ে তার তলায় নিশ্চয়ই সম্প্রতি বিস্ফোরক রেখেছিল নকশালরা। বিস্ফোরণ স্থলে যারা প্রথমে পৌঁছেছিলেন তাঁরা ভেবেছিলেন পর্যটকদের গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। খুব কাছ থেকে পোশাক দেখার পর বোঝা যায়, পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণটি হয়"।
বুধবার সকাল ১১ টা ২৩ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে। কুইক রেস্পন্স টিমের ১৫ জন সদস্য তখন কুরখেদার মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে যাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই পথ দিয়ে কিছুক্ষণ আগেই এসডিপিও যাওয়ায় পথকে নিরাপদ বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। ডিজিপি জয়ওসয়াল জানিয়েছেন "নকশালদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান আমরা থামাব না"। লোকসভা নিরবাচনের মাঝে যে এমন কিছু ঘটতে পারে, সে খবর পুলিশের কাছে আগেই ছিল, তবু এড়ানো গেল না, বলেই জানিয়েছেন তিনি।