গৌতম নওলাখাকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দিল্লির বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না, নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ঘটনায় মঙ্গলবারই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুনে পুলিশ। এদিন কাকভোরে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতারির পরে নিম্ন আদালতে তাঁকে ট্র্যানজিট রিম্যান্ডে পুনেতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়। সে আবেদনে সাড়া দিয়েছিল আদালত। নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধিকার আন্দোলনের এই কর্মীকে দিল্লির বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। বিচারপতি এস মুরলীধর এবং বিনোদ গোয়েলের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
বেঞ্চ একই সঙ্গে জানিয়েছে, গৌতম নওলাখা তাঁর বাড়িতে পুলিশ প্রহরায় থাকবেন, এবং তাঁর আইনজীবী ছাড়া আর কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না।
আদালতের বক্তব্য, গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতারির কারণ সম্পর্কে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ কাণ্ড: দেশ জুড়ে পুলিশি হানা, গ্রেফতার ভারভারা রাও সহ বেশ কয়েকজন
স্থানীয় কোনও সাক্ষী ছাড়া, স্থানীয় আদালত থেকে কীভাবে ট্র্যানজিট রিম্যান্ড পেল পুলিশ, বেঞ্চ একই সঙ্গে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আদালত জানিয়েছে, সমস্ত নথির অনূদিত কপি আগামিকালের মধ্যে পেশ করতে হবে।
গৌতম নওলাখাকে দিল্লির বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে গেবিয়াস কর্পাস আবেদন দাখিল করেন।
এদিনই বামপন্থী বেশ কয়েকজন সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ। দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে এদিন ভোর রাত থেকে হানা দেওয়া শুরু করে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, এঁদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগাযোগ রয়েছে।